যুক্তরাজ্যের ঐতিহ্যবাহী মোটরসাইকেল ব্র্যান্ড ‘রয়েল এনফিল্ড’ বাংলাদেশের বাজারে ব্যবসা শুরু করতে যাচ্ছে। ইফাদ অটোস রয়েল এনফিল্ডের সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই করেছে, যার আওতায় তারা বাংলাদেশে রয়েল এনফিল্ডের মোটরসাইকেল বিপণন করবে। পাশাপাশি তারা এই ব্র্যান্ডের মোটরসাইকেলের কারখানাও করতে চায়।
অবশ্য সবকিছু নির্ভর করবে মোটরসাইকেল বাজারে ছাড়ার সিসি (ইঞ্জিন ক্ষমতা) সীমা তুলে নেয়ার ওপর। বাংলাদেশে ১৬৫ সিসির ওপর মোটরসাইকেল বাজার ছাড়ার সুযোগ নেই।
ইফাদ অটোসের একজন শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা বলেন, মার্চের মধ্যে সিসি সীমা তুলে নেয়া হলে তারা আগামী মে মাসে রয়েল এনফিল্ডের মোটরসাইকেল বাজারে ছাড়তে পারবেন। আর কারখানা করার চিন্তা চট্টগ্রামের মিরসরাই অথবা ময়মনসিংহের ভালুকায়। মিরসরাইয়ে বঙ্গবন্ধু শিল্পনগরে ৩০ একর জমি নিয়েছে ইফাদ।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, ২০১৫ থেকে ২০১৮ সালের জন্য প্রযোজ্য আমদানি নীতিতে সরকার প্রথম মোটরসাইকেলের সিসি সীমা ১৫০ থেকে ১৬৫–তে উন্নীত করে। এবার সিসিসীমা তুলে নেওয়ার ক্ষেত্রে কারো কারো অবস্থান বিপক্ষে।
তিনটি কোম্পানির লিখিত মতামত অনুযায়ী, জাপানের সুজুকি ব্র্যান্ডের মোটরসাইকেল উৎপাদনকারী র্যানকন মোটর বাইকস লিমিটেড সিসি সীমা তুলে দেয়ার পক্ষে। রানার অটোমোবাইলসও এই সীমা তুলে দেয়ার পক্ষে মতামত দিয়ে বলেছে, তাদের ৫০০ সিসি পর্যন্ত মোটরসাইকেল তৈরির অনুমোদন আছে। তারা ২০০ সিসির মোটরসাইকেল রপ্তানি শুরু করেছে। জাপানের আরেক ব্র্যান্ড কাওয়াসাকি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে গত ৫ ডিসেম্বর একটি চিঠি দিয়ে বলেছে, তারা বাংলাদেশে ব্যবসা সম্প্রসারণ করতে চায়। এজন্য সিসি সীমা ২৫০–এ উন্নীত করার আবেদন করছে তারা।
অবশ্য পক্ষে নয় হিরো। এ ব্র্যান্ডের মোটরসাইকেল উৎপাদনকারী এইচএমসিএল নিলয় বাংলাদেশ লিমিটেড বলেছে, উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ইঞ্জিনবিশিষ্ট মোটরসাইকেল চালানোর পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা দেশে বলবৎ নেই।
সূত্র জানিয়েছে, বাংলাদেশ মোটরসাইকেল অ্যাসেম্বলার্স ও ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএএমএ) ২০২৫ সাল পর্যন্ত সিসি সীমা বহাল রাখার পক্ষে।