শুক্রবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সত্যব্রত শিকদারের আদালত শুনানি শেষে রিমান্ডের আদেশ দেন।
মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। আদালত ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে নেহাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ নিয়ে এ মামলায় মোট তিনজন গ্রেপ্তার হয়ে রিমান্ডে গেলেন।
এদের মধ্যে সাফায়েত জামিল আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করে। আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এছাড়া গত ৩১ জানুয়ারি ওই শিক্ষার্থীর দুই বন্ধু মর্তুজা রায়হান চৌধুরী (২১) ও নুহাত আলম তাফসীরের (২১) ৫ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, গত ২৮ জানুয়ারি বিকেল ৪টায় মর্তুজা রায়হান ওই তরুণীকে নিয়ে মিরপুর থেকে আরাফাতের বাসায় যায়। আরাফাতের বাসায় স্কুটার রেখে আরাফাত, ওই তরুণী ও রায়হান একসঙ্গে উবারে করে উত্তরার ৩ নম্বর সেক্টরের ব্যাম্বুসুট রেস্টুরেন্টে যায়। সেখানে আগে থেকেই আরেক আসামি নেহা এবং একজন সহপাঠী উপস্থিত ছিল। সেখানে আসামিরা ওই তরুণীকে জোর করে ‘অধিক মাত্রায়’ মদ পান করায়।
‘মদপানের একপর্যায়ে ভুক্তভোগী তরুণী অসুস্থ বোধ করলে রায়হান তাকে মোহাম্মদপুরে তার এক বান্ধবীর বাসায় পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে নুহাতের বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে তরুণীকে একটি রুমে নিয়ে ধর্ষণ করে রায়হান। এ সময় রায়হানের বন্ধুরাও সেখানে ছিল।’
ধর্ষণের পর রাতে ওই তরুণী অসুস্থ হলে রায়হান তার আরেক বন্ধু অসিম খানকে ফোন দেয়। সেই বন্ধু পরদিন এসে তরুণীকে প্রথমে ইবনে সিনা ও পরে আরকেটি হাসপাতালে ভর্তি করে। দুই দিন লাইফ সাপোর্টে থাকার পর ওই তরুণী মারা যান।