দিল্লির সীমান্ত এলাকা ঘেরাও করা হয়েছে কাঁটাতার আর ব্যারিকেডে। লালকেল্লায় দেওয়া হয়েছে অতিরিক্ত নিরাপত্তা। আজ দুপুর ১২ টা থেকে ৩ টা পর্যন্ত চাক্কা জ্যামের ডাক দিয়েছেন ভারতের একাধিক কৃষক সংগঠনগুলি। ফলে কৃষকদের ডাকে ফের অশান্ত পরিবেশের সৃষ্টি হতে পারে বলে আশংকা করছে দিল্লি পুলিশ।
বিক্ষোভের কেন্দ্রস্থলে ইন্টারনেট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দিল্লির বিভিন্ন জায়গায় পুলিশ এবং সিআরপিএফ মোতায়েন করা হয়েছে। কৃষক আন্দোলন ঘিরে ফের যাতে কোনও রকম অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি না হয় সেদিকে কড়া নজর রেখেছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। দিল্লি পুলিশ, প্যারামেলেটারি এবং রিজার্ভ ফোর্সের প্রায় ৫০ হাজার কর্মীকে দিল্লির বিভিন্ন জায়গায় নিরাপত্তার দায়িত্বে মোতায়েন করা হয়েছে। দিল্লির মোট ১২ টি মেট্রো স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে।
গত ২৬ জানুয়ারির ঘটনার পর থেকে প্রায় ৩০০ টির উপর সোশ্যাল মিডিয়া প্রতিষ্ঠানের উপর নজর রেখে চলেছে দিল্লি পুলিশের সাইবার বিভাগ। চাক্কা জ্যাম নিয়ে যাতে উত্তেজনাকর পোস্ট না হয় সেদিকেও কড়া নজর রাখছে তারা। বৃহস্পতিবার রাতেই দিল্লির নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক বসে। যেখানে উপস্থিত ছিলেন ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল ও দিল্লি পুলিশের পুলিশ কমিশনার এস এন শ্রীবাস্তব।
উত্তরপ্রদেশ ও হরিয়ানা রাজ্যের পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় সাধন করে কাজ করছে দিল্লি পুলিশ। এদিকে কৃষক নেতা রাকেশ টিকাইত জানিয়েছেন, উত্তরপ্রদেশ এবং উত্তরাখন্ডে চাক্কা জ্যাম হবে না। এই দুটি জায়গায় কৃষকরা জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে স্মারকলিপি জমা দেবেন। উল্লেখ্য, ভারতে প্রায় দুই মাসেরও বেশী সময় ধরে কৃষি আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে চলেছেন কৃষকরা।