বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টার দিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে তাকে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে হামলার পরপরই বখাটে রফিক সরদার (২৫) আত্মগোপন করেছেন। পুলিশ অভিযান চালিয়ে রফিকের মা রানু বেগম ও ভগ্নিপতি শাখাওয়াত হোসেনকে আটক করেছে।
আহত রাসিক হাওলাদার উপজেলার কমলাপুর গ্রামের ওমান প্রবাসী নজরুল হাওলাদারের ছেলে ও খাঞ্জাপুর পাঙ্গাশিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী। হামলাকারী রফিক সরদার গৌরনদী পৌরসভার সুন্দরদী এলাকার সিরাজ সরদারের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, রাসিক হাওলাদার তার স্কুলের একই ক্লাসের এক ছাত্রীর (১৬) সঙ্গে গত চার বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক চালিয়ে আসছে। রাসিক টরকী বন্দরের সুন্দরদী এলাকায় তার মামার শ্বশুর (নানা) আনোয়ার হোসেনের বাড়িতে প্রেমিকাকে নিয়ে মাঝে মধ্যে গোপনে বেড়াতে যেত। আনোয়ার হোসেনের প্রতিবেশি রানু বেগম ও তার ছেলে রফিক সরদার বিষয়টি ভালো চোখে দেখতেন না। বৃহস্পতিবার সকালে রাসিক তার প্রেমিকাকে নিয়ে সুন্দরদী এলাকায় ওই বাড়িতে ফের বেড়াতে যান।
ওই বাড়িতে দীর্ঘক্ষণ একান্তে সময় কাটায় তারা। দুপুরে বিষয়টি টের পেয়ে রানু বেগম তার ছেলে রফিককে বিষয়টি জানালে রফিক ঘরে থাকা বটি নিয়ে আনোয়ার হোসেনের বাড়িতে যান এবং দরজা খুলতে বলেন। কিন্তু রাসিক ও তার প্রেমিকা ভয় পেয়ে দরজা খুলতে দেরি করে। এতে রফিক ক্ষিপ্ত হয়ে দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে বটি দিয়ে রাসিকের প্রেমিকাকে আঘাত করতে যান।
এ সময় প্রেমিকাকে বাঁচাতে গিয়ে প্রথমে রাসিক ডান হাত দিয়ে বাধা দেয়। এতে বটির কোপ গিয়ে রাসিকের ডান হাতের কব্জির ওপরে লাগে। এরপর আবার বটি দিয়ে কোপ দিলে রাসিকের বাম হাতে লাগে। এভাবে অন্তত পাঁচটি কোপ লাগে রাসিকের শরীরে।
রাসিক একপর্যায়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। এ সময় রাসিকের প্রেমিকার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে রফিক পালিয়ে যান।
রাসিককে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা হাসপাতালে ও পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সন্ধ্যায় বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
হামলাকারী রফিক সরদারের মা রানু বেগম বলেন, রাসিক নামে ওই ছেলেটি তার প্রেমিকাকে নিয়ে প্রতিবেশি আনোয়ার হোসেনের বাড়িতে অনৈতিক কার্যকলাপে লিপ্ত ছিল। বিষয়টি জানতে পেরে আমার ছেলে রফিক তাদের ওই বাড়ি থেকে চলে যেতে বলেছিল। তবে তারা রফিকের কথা না শুনে গালাগালি করে। এতে রফিক ক্ষিপ্ত হয়ে এ ঘটনা ঘটিয়েছে।