বুধবার ‘ফোর্সড কিপ ডাউনের’ মাধ্যমে চালানটির শতভাগ কায়িক পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়। এসময় ঘোষণা বহির্ভূত ব্ল্যাক, ডানহিল, ডেভিডঅফ, ন্যানো ওরিস ব্রান্ডের ৩ হাজার ৭৪৮ দশমিক ৭ কেজি ওজনের ৪৮ লাখ ২৮ হাজার শলাকা বিদেশি সিগারেট পাওয়া যায়। যার আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ৫ কোটি টাকা।
কাস্টমস সূত্রে জানা যায়, পাবনার ঈশ্বরদী রফতানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকার (ইপিজেড) ফুজিয়ান এক্সপোর্ট ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের নামে বন্ড সুবিধায় ‘পলিয়েস্টার পিইটি স্ট্র্যাপ’ ঘোষণায় চালানটি চট্টগ্রাম বন্দরে আসে। গোপন সংবাদ থাকায় কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের মহাপরিচালকের নির্দেশনা অনুযায়ী জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ড সিস্টেমে চালানটির আইজিএম ব্লক করা হয়। একই সঙ্গে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস ও বন্দর কর্তৃপক্ষকে কাস্টমস গোয়েন্দার অনাপত্তি ছাড়া চালানটি খালাস না দিতে চিঠি দেওয়া হয়।
কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের সহকারী পরিচালক নুরুন নাহার লিলি জানান, শতভাগ রপ্তানিমুখী শিল্পের জন্য দেয়া শুল্কমুক্ত সুবিধায় কাঁচামাল আমদানির কথা থাকলেও বাস্তবে পাওয়া যায় বিদেশি বিভিন্ন ব্রান্ডের সিগারেট। এই শুল্কমুক্ত সুবিধার অপব্যবহার করে শতভাগ রপ্তানিমুখী শিল্পের কাঁচামাল ঘোষণায় আমদানি করা হলো সিগারেট। এ বিষয়ে মামলা দায়েরের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। তাছাড়া এ ঘটনায় কারা জড়িত তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
কাস্টমস হাউস চট্টগ্রাম ও চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষকে এ অধিদফতরের অনাপত্তি ব্যতীত পণচালানটি খালাস প্রদান না করার জন্য পত্র মারফত অবহিত করা হয়েছে বলে জানান তিনি।