বুধবার শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল গণমাধ্যমকে বলেন, ঢাবির অধিভুক্ত সরকারি ৭ কলেজের চলমান পরীক্ষাগুলো অব্যাহত থাকবে। পরীক্ষাগুলোর তারিখ পরবর্তীতে জানিয়ে দেয়া হবে।
এদিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় দাবি মেনে নেয়ায় আন্দোলন থেকে সরে এসেছেন শিক্ষার্থীরা। এর আগে মঙ্গলবার এক জরুরি সভায় ৭ কলেজের চলমান সব পরীক্ষা স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এ খবর শিক্ষার্থীদের মাঝে ছড়িয়ে পড়লে রাতেই নীলক্ষেত মোড় অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। পরে বুধবার সকাল ৯টা থেকে আবারও নীলক্ষেত মোড় অবরোধ করেন। শিক্ষার্থীদের টানা অবরোধের কারণে পুরো রাজধানী জুড়েই তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে করে চরম দুর্ভোগে পড়েন সাধারণ যাত্রীরা।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, মহামারীর সময় হঠাৎ করেই পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছিল। আমরা আশা করেছিলাম, আড়াই বছর ধরে ঝুলে থাকা পরীক্ষা এবার শেষ হবে। কিন্তু ঝুলে থাকা পরীক্ষা শেষ না করে আবার ঝুলিয়ে রাখলো। তবে এখন নতুন করে পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানান তারা।
শিক্ষার্থীরা আরও জানান, ২০১৯ সালে তাদের এ পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল। পরে করোনার মধ্যেই তারিখ ঘোষণা করা হয়। অনার্স ৩য় বর্ষ ও মাস্টার্সের পরীক্ষা চলমান ছিল। মাস্টার্সের পরীক্ষা বাকি ছিল একটি আর অনার্সের তিন। আজ ২৪ ফেব্রুয়ারি মাস্টার্সের শেষ পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিলো।