নিহত কোব্বাস আলী ওই গ্রামেরই বাসিন্দা ছিলেন। গণমাধ্যমকে এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন মৌগাছী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আল-আমিন বিশ্বাস। তিনি জানান, স্থানীয় মসজিদ থেকে কয়েকদিন আগে ২০ কেজি ধান চুরি হয়। এরপর গ্রামবাসী নিশ্চিত হন যে কোব্বাস আলীর ভাগ্নে সাদ্দাম হোসেন (২০) ধানগুলো চুরি করেছেন। এ নিয়ে মসজিদ কমিটির সভাপতি কোব্বাস আলীকে নিয়ে সালিশে বিষয়টির মীমাংসা করেন। কিন্তু মুসল্লিরা তা মেনে নেননি। এ নিয়ে উত্তেজনা চলছিল।
শনিবার রাত ৮টার দিকে এলাকার কয়েকজনের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কোব্বাস আলীর বাগবিতণ্ডা শুরু হয়। এরই এক পর্যায়ে উভয়পক্ষ রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এতে কোব্বাস আলী ও তার দুই ছেলে আহত হন। সংঘর্ষে মুসল্লিদের পক্ষেরও চার-পাঁচজন আহত হন। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক কোব্বাস আলীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। রাজশাহী জেলা পুলিশের মুখপাত্র ইফতেখায়ের আলম জানান, খবর পেয়ে এলাকায় পুলিশ গেছে। এরপর পরিস্থিতি শান্ত হয়েছে।
তিনি আরো জানান, সংঘর্ষে গুরুতর আহত কয়েকজনকে মোহনপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের আটক করতে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে বলেও জানান তিনি।