তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি বার্সাগেট কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত। এখন পর্যন্ত বার্তোমেউ সহ চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য তিনজনের মধ্যে দুজন হলেন বার্সেলোনার সিইও অস্কার গ্রাউ এবং হেড অব ক্লাব সার্ভিসেস রোমান গোমেজ। অপরজন হলেন জাউমে মাসফেরার। তিনি বার্তেমেউয়ের উপদেষ্টা হিসেবে হাক করেছিলেন।
সোমবার সকালে নু ক্যাম্পে অভিযান চালায় স্প্যানিশ পুলিশ। স্প্যানিশ মিডিয়ার খবরে বলা হচ্ছে, গত বছরের ‘বার্সাগেট কেলেঙ্কারির’ জন্য পুলিশ এই অভিযান চালিয়েছে। ক্লাবটির কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা ক্লাব এবং ক্লাবটির প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে সমালোচনাকারাী বর্তমান ও সাবেক খেলোয়াড়দের বিরুদ্ধে কুৎসা রটনায় লিপ্ত ছিল।
স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম এল মুন্দোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, বার্সেলোনা সোশ্যাল মিডিয়া কনসাল্টেন্সি প্রতিষ্ঠান আই-৩ ভেঞ্চারকে বর্তমান বাজারমূল্যের চেয়ে ৬০০ শতাংশ বেশি মূল্যে নিয়োগ দিয়েছিল। বার্সেলোনার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম মনিটর করার জন্য প্রতিষ্ঠানটিকে নিয়োগ দেয়া হয়েছিল।
গত সেপ্টেম্বরে কাতালান পুলিশ বার্সেলোনার আই-৩ ভেঞ্চার নিয়োগ ও ‘সম্ভাব্য অর্থনৈতিক অপরাধ’ বিষয়ে একটি তদন্ত প্রতিবেদন বিচারকের কাছে জমা দেয়।
অভিযোগ রয়েছে, বার্তেমেউয়ের বিরোধিতাকারীদের বিরুদ্ধে খারাপ খবর প্রচার করত আই-৩ ভেঞ্চার। এর মধ্যে একটি খবর ছিল লিওনেল মেসির স্ত্রী অ্যান্তোনেল্লা রোকুজ্জোকে উল্লেখ করে।
২০২০ সালের জুলাইয়ে অডিট কোম্পানি প্রাইসওয়াটারহাউজকপার্স বার্সেলোনার বিরুদ্ধে সব ধরনের অভিযোগ মিথ্যা বলে উল্লেখ করেছিল। কিন্তু পুলিশ বিষয়টি নিয়ে নিয়মিত তদন্ত করতে থাকে। গত জুনে ক্যাম্প ন্যুতে অভিযান চালিয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ পায় পুলিশ। এরপর সোমবার আবার অভিযান চালায় পুলিশ।
গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে বার্সেলোনা কর্তৃপক্ষ স্বীকার করেছিল যে, তারা আই-৩ ভেঞ্চারকে নিয়োগ দিয়েছে। কিন্তু মেসি, জেরার্ড পিকে ও পেপ গার্দিওলাদের বিরুদ্ধে কুৎসা রটনার সাথে আই-৩ ভেঞ্চারের কোনো সম্পর্ক নেই। যদি এ ধরনের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায় তাহলে এই কোম্পানির সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করা হবে।