নতুন এই উদ্যোগের ফলে কর্মরত শিক্ষক কর্মচারীদের পাশাপাশি সুবিধাদি পাবেন অবসরে যাওয়া ব্যক্তিরাও। আত্তীকৃত কাজটি দ্রুত শেষ করতে ২০টি টিম করে নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দেয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন।
শনিবার এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, জাতীয়করণ হওয়া কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীদের আত্তীকরণ করতে দ্রুত কাগজপত্র যাচাই বাছাইয়ের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে ২০টি টিম কাজ করবে। এসব টিমের কাজ তদারকি করতে অতিরিক্ত সচিবদের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। ছুটির দিনেও কাজ করতে টিমের সঙ্গে জড়িতদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, সরকারি হওয়া ৩০৩টি কলেজের মধ্যে ১২১টির যাচাই কার্যক্রম আগেই শেষ হয়েছে। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে বাকি ১৮২টি কলেজের কাগজপত্র যাচাই বাছাই শেষ করা হবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, গঠিত ২০টিমের জন্য একটি কর্মপরিকল্পনাও নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে- আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে কলেজগুলোর কাগজপত্র যাচাই বাছাই শেষ করা, টিম প্রধানদের স্ব-স্ব শাখায় কর্মরত প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও কর্মচারী কর্তৃক বাছাই কার্যক্রম শেষে চূড়ান্ত কার্যবিবরণী প্রস্তুত করা, পদ সৃজনের কাজ দ্রুত শেষ করতে এ কার্যক্রমের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্মানী প্রদানের লক্ষে প্রয়োজনীয় অর্থের সংস্থান করার জন্য প্রশাসন ও অর্থ অনুবিভাগকে অনুরোধ করা, তদারককারী কর্মকর্তা কর্তৃক প্রতি সপ্তাহ শেষে তার অধীন টিমের কাজের অগ্রগতি অবহিত করা এবং অত্যাবশ্যক না হলে যাচাই-বাছাই কার্যক্রম শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোনো ছুটি ভোগ না করা।
প্রসঙ্গত, গত ডিসেম্বর পর্যন্ত সরকারি চাকরিবিধি অনুযায়ী বয়স ৫৯ বছর হওয়ায় ১৩৭২ জন শিক্ষক-কর্মচারী অবসরে গেছেন। প্রায় তিন বছর আগে কলেজগুলো সরকারি করা হলেও শিক্ষক-কর্মচারীদের আত্তীকৃত না করায় তারা সরকারিকরণের সুফল ছাড়াই অবসরে গেছেন। তবে তাদের বিষয়ে সরকার জিও জারির দিন থেকে সরকারি সুবিধা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।