রোববার আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বাণীতে তিনি এ মন্তব্য করেন। ফখরুল বলেন, বর্তমান দুঃসময়ে নারী ও শিশুরা অতি মাত্রায় নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। দেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া প্রতিহিংসার শিকার হয়ে বন্দী। নারী হলেও তার ওপর চালানো হচ্ছে ‘বন্য’ বিচারের জুলুম। এই নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি’র অবসান ঘটাতে হবে। এবারের আন্তর্জাতিক নারী দিবসের মূল থীম “নেতৃত্বে নারী” এর সফলতা কামনা করছি।
প্রতি বছর মার্চের ৮ তারিখে আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালিত হয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক নারী দিবসের গুরুত্ব অপরিসীম। ক্ষমতার প্রশ্নে লিঙ্গ সমস্যা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। অর্ধেকেরও বেশী নারী অধ্যুষিত বাংলাদেশের নারীরা সবসময়ই থেকেছে অবহেলিত।
ফখরুল বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী যা কিছু সৃষ্টি চিরকল্যাণকর, অর্ধেক তার করিয়াছে নারী অর্ধেক তার নর’ জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম-এর এই ঐতিহাসিক নারী কবিতার লাইনটির যথার্থতা অনুধাবণ করে আমাদের দেশের নারীদের কল্যাণে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের প্রশংসনীয় উদ্যোগে নারীরা আজ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে সক্ষম হয়েছে। শহীদ জিয়াই প্রথম মহিলা ও শিশু মন্ত্রনালয় গঠন করেছেন।
‘বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে নারীর বিনা বেতনে শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি করে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হতে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন। নারীদের উন্নয়নে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণে শহীদ জিয়া এবং বেগম খালেদা জিয়ার অবদান তৃতীয় বিশ্বে একটি মডেল হিসেবে বিবেচিত হয়। তাদের যথাযথ উদ্যোগের কারণেই বাংলাদেশে পিছিয়ে থাকা নারীরা নিজেদেরকে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করতে অনেকটাই সক্ষম হয়েছে। এই উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বর্তমানে রক্ষা করা হয়নি। বরং বর্তমান শাসনকালে উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে নারীর প্রতি সহিংসতা উদ্বেগজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।’
আন্তর্জাতিক নারী দিবসে বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল নারীর সুখী সমৃদ্ধশালী ও সম্মানজনক জীবন কামনা করে তাদেরকে প্রাণঢালা অভিনন্দন জানান ফখরুল।