শনিবার দুপুরের দিকে র্যাব এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। র্যাব জানায়, শুক্রবার শহরের বাড়াদী খালপাড়া এলাকায় র্যাব-১২ সিপিসি-১ এর অভিযানিক দল সাদা পোষাকে অভিযান চালায়। তারা ক্রেতা সেজে ইয়ারা কেনাবেচারত মেহেদীকে এক সহযোগীসহ আটক করেন। এ সময় মেহেদীর দেহ তল্লাশি করে ১৫০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করে র্যাব। আটক মেহেদী হাসান কুষ্টিয়া পৌরসভার ১৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগ নেতা মহিদুল ইসলামের ছেলে। মেহেদী হাসানের সহযোগী আটক রুবেল (২৯) একই এলাকার বাসিন্দা মৃত জিলাল হকের ছেলে।
র্যাব-১২ কুষ্টিয়া ক্যাম্পের কমান্ডার গাফ্ফারুজ্জামান জানান, শুক্রবার রাতে সদর থানার বাড়াদী এলাকায় কেনাল রোডের বাসিন্দা জনৈক মনির উদ্দিনের বাড়ির সামনে ইয়াবা কেনাবেচার সময় মেহেদী হাসান ও তার সহযোগী রুবেলকে আটক করা হয়। পরে তাদের দেহ তল্লাশি চালিয়ে ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। মাদক মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে কাউন্সিলর মহিদুল ইসলাম বলেন, ‘ও ভাই, মেহেদীর মামাতো ভাই রিপনের কাছ থেকে কিছু বড়ি (ইয়াবা) কাইড়ি লিয়ে খায়ে ফেলিছিলি, ট্যাকা না পায়ে রিপন র্যাবকে দিয়ে ধরায়ে দেছে।’ মিরপুর উপজেলার আমলা গ্রামের বাসিন্দা বাবুল হোসেনের ছেলে রিপনই আসল মাদক ব্যবসায়ী বলে দাবি করেন কাউন্সিলর মহিদুল ইসলাম।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী ও কয়েকজন জানায়, দীর্ঘদিন ধরেই এলাকায় এসব প্রভবশালীদের দাপটে দেদারসে মাদক কেনা-বেচা-সেবন সবকিছুই চলছে প্রকাশ্যে। কারো কিছু বলা বা বাধা দেয়ার সাহস নেই।