চাটমোহর কৃষি অফিস সূত্র জানায়, চলতি মেসুমে চাটমোহরের ১১ টি ্ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা এলাকায় ৯ হাজার ৪শ হেক্টর জমিতে বোরো চাষ হয়েছে। গত বছর এসব এলাকায় ৭ হাজার ৪শ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষ হয়েছিল। এ বছর বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৯ হাজার ৭শ হেক্টর।
উপজেলার বিলচলন ইউনিয়নের চরসেন গ্রামের কৃষক তফিজ উদ্দিন জানান, সাড়ে তিন বিঘা জমিতে বোরো ধানের চাষ করেছেন তিনি। ধানের চারা উৎপাদন, জমি চাষ, মই দেয়া, চারা রোপন, সার, বালাই নাশক, আগাছা উৎপাটন, উপরি সার প্রয়োগ, ভিটামিন প্রয়োগ এবং কাটার শ্রমিক মজুরী বাবদ বিঘা প্রতি প্রায় দশ হাজার টাকা খরচ হয়। প্রাকৃতিক দূর্যোগ না ঘটলে বিঘা প্রতি ২০ থেকে ২৫ মন হারে ফলন পাওয়া যায়। এর মধ্যে সেচ বাবদ সেচ যন্ত্রের মালিককে এক চতুর্থাশ ধান কাটার সময় জমি থেকে দিয়ে আসতে হয়। এক বিঘা জমি থেকে প্রায় ৪ হাজার টাকার খড় পাওয়া যায়। নিজের জমি হলে বিঘা প্রতি প্রায় দশ হাজার টাকা লাভ থাকে। তবে যারা লীজ নিয়ে জমি চাষ করেন তারা খুব একটা লাভ করতে পারেন না।
চাটমোহর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এ.এ মাসুম বিল্লাহ জানান, চাটমোহরে সাধারণত উফশী জাতের ব্রীধান ২৮, ব্রীধান ২৯, ব্রীধান ৫৭, ব্রীধান ২৮ এবং হাইব্রিড জাতের পারটেক্স, তেজগোল্ড, এস এল-৮ ও ছক্কা জাতের বোরো ধান চাষ হয়ে থাকে। মাঠের অবস্থা এখন পর্যন্ত ভাল দেখা যাচ্ছে। যেহেতু বর্তমান বাজারে ধানের দাম বেশি সেহেতু কোন প্রাকৃতিক দূর্যোগ না ঘটলে কৃষক লাভবান হবেন বলে আশা করা যাচ্ছে।