রোববার বিকেলে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হোসেন মো. রেজার আদালতে পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (প্রসিকিউশন) কাজী শাহাবুদ্দিন।
কাজী শাহাবুদ্দিন জানান, ‘পতেঙ্গা থানা পুলিশ অভিযুক্ত তাহমিনা সিমিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত শুনানি শেষে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।’
পতেঙ্গা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মিজানুর রহমান বলেন, ‘সিমিকে আদালত থেকে থানায় এনে একটি রুমে আলাদা করে রাখা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করব। তার যে বয়ফ্রেন্ড ভিকটিমকে বেশি মারধর করেছে তাকে আটক করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। আশা করছি খুব তাড়াতাড়ি আমরা তাকে আটক করতে সক্ষম হবো।’
এর আগে শনিবার রাতেই সিমি ও তার বয়ফ্রেন্ড মেহেরুল হাসানের বিরুদ্ধে আইসিটি অ্যাক্টে মামলা করে ভিকটিম ওয়াসিফা চৌধুরী অর্না।
অভিযুক্ত সিমি চট্টগ্রাম নগরীর ইপিজেড থানার সিমেন্ট ক্রসিং বড়বাড়ি এলাকার কামাল হোসেনের মেয়ে। তবে তাদের গ্রামের বাড়ি খুলনার বাগেরহাটে। ৬ বছর আগে তার পিতা মারা গেছেন। এক ভাই ও মাকে নিয়ে নগরের সিমেন্ট ক্রসিং বড়বাড়ি এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকেন। তিনি একটি কলেজের শিক্ষার্থী।
গত শুক্রবার ফেসবুকসহ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, পতেঙ্গা থানার নেভাল এলাকায় এক তরুণীকে শাসাচ্ছেন সিমি। ওই তরুণী মাফ চাইলেও বেশ উত্তেজিত দেখা গেছে এই লেডি গ্যাং লিডারকে। একপর্যায়ে সেখানে উপস্থিত থাকা এক তরুণও সিমিকে সঙ্গ দিয়ে ওই তরুণীকে কয়েক দফা চড়-থাপ্পড় দেন। কিন্তু তখনো ক্ষান্ত হননি সিমি। ওই তরুণীকে উদ্দেশ্য করে সিমি বলতে থাকেন- ‘আমি চাইলে তুমি এখান থেকে জিন্দা যাইতে পারবা না।’
এদিকে ফেসবুকসহ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ভিডিওর বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শনিবার দুপুরে তার নিজ বাসা থেকে তাকে আটক করে পতেঙ্গা থানা পুলিশ।
এর আগে ২০২০ সালের ২৪ আগস্ট চট্টগ্রাম নগরের ইপিজেড থানা এলাকায় অধরা মোহনা নামে এক মেয়েকে বাড়িতে ঢুকে মারধর করে আসার অভিযোগে ইপিজেড থানায় গ্রেপ্তার হয়েছিল সিমি। নিজেকে লেডি ডন হিসেবে পরিচয় দিতে পছন্দ করা এই কিশোরীর বিরুদ্ধে অসংখ্য মেয়েকে মারধর করার অভিযোগ রয়েছে বলে সিমির পরিচিত জনদের সাথে আলাপ করে জানা গেছে।