রোববার (২৮ মার্চ) সন্ধ্যায় নিজের ফেসবুক আইডিতে লাইভে এসে তিনি এসব কথা বলেন। কাদের মির্জা নিজেকে ‘ডিসি’ পদমর্যাদার লোক দাবি করে বলেন, একজন পুলিশ অফিসার আমাকে চরমভাবে অপমান করেছে। এটা কি মেনে নেয়া যায়? এ অপমানের যদি বিচার করা না হয় আমার আত্মহত্যা করা ছাড়া উপায় থাকবে না।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহাব উদ্দিনকে সব অপকর্মের হোতা দাবি করে কাদের মির্জা বলেন, গত কয়েকদিন এখানে পরিবেশ শান্ত ছিল। এ লোক এসে আবার অস্ত্রের ঝনঝনানি শুরু করেছেন। আমার প্রতিপক্ষ বাদল, রাহাত, মঞ্জু, আরিফদেরকে দিয়ে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সৃষ্টি করছেন।
তিনি আরো বলেন, ওদের সঙ্গে কোম্পানীগঞ্জের ইউএনও, ওসি, ওসি-তদন্ত জড়িত। যাদের অনিয়মের কথা বলায় এখন আমি খারাপ। পুলিশ এখানে তাণ্ডব চালাচ্ছে। ওসি, ওসি-তদন্ত বলেছে মির্জার সঙ্গে যেন কেউ না থাকে সেই ব্যবস্থা করতে হবে। ওবায়দুল কাদের ও তার স্ত্রী এসব করাচ্ছে। আজকে কোথায় মানবাধিকার সংস্থা, সরকারতো আগেই নাই।
কাদের মির্জা বলেন, গরীবদের জন্য ৬৫টি সেলাই মেশিন দিতে এনেছিলাম। পুলিশ সেটাও দিতে দেয়নি। আজকে (রোববার) ৫ জন করোনা যোদ্ধাকে সম্মাননা দিতে চেয়েছিলাম। পুলিশ সেটাও করতে দেয়নি।
প্রতিপক্ষ বাদলের গ্রেপ্তারকে আইওয়াশ দাবি করে কাদের মির্জা বলেন, আমি আগেই বলেছি এসব আইওয়াশ। তাই বাদলের গ্রেপ্তারের দিন আমার কর্মীদেরকে আনন্দ করতে দেইনি। এখন বাদল জামিনে এসে আমার নেতাকর্মীদেরকে অস্ত্রের ভয় দেখায়, থানায় বসে মিটিং করে।