পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত কক্সবাজার জেলায় সকল ধরনের জনসমাগম, সামাজিক, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টায় অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ‘জুম কনফারেন্সের’ মাধ্যমে অনুষ্ঠিত জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।
সভায় মসজিদ-মন্দিরসহ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি পালনে কঠোর নির্দেশনা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এছাড়াও মাস্ক পরিধান এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য অভিযান জোরালো রাখা এবং ইফতার মাহফিল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে সভায়।
জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আরও বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়েছে। কক্সবাজারের হোটেল-রেস্টুরেন্টগুলোক ধারণ ক্ষমতার ৫০ শতাংশ লোকের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা, যানবাহনে ৫০ ভাগ যাত্রী পরিবহন করা, রাত ১০ টার পরে হাট-বাজার-শপিংমলসহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এই সময়ের পরে জরুরী প্রয়োজন ছাড়া কাউকে ঘরের বাইরে না যাওয়ার কথা বলা হয়েছে। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতাল এবং আইসোলেশন সেন্টারগুলো পুণরায় চালু এবং ডাক্তার-নার্সসহ প্রয়োজনীয় লোকবল নিশ্চিত করার করার সিদ্ধান্ত হয়েছে সভায়। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে যে নির্দেশনাগুলো দেওয়া হয়েছে সেগুলো বাস্তবায়নের ব্যাপারেও সিদ্ধান্ত হয়।
সভায় বক্তব্য রাখেন কক্সবাজার সদর-রামু আসনের সাংসদ সাইমুম সরওয়ার কমল, মহেশখালী-কুতুবদিয়া আসনের সাংসদ আশেক উল্লাহ রফিক, জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ, করোনা আক্রান্ত সাবেক জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন, পুলিশ সুপার মোঃ হাসানুজ্জামান, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা, সিভিল সার্জন ডাঃ মাহবুবুর রহমান, কক্সবাজার প্রেসক্লাব ও কক্সবাজার সাংবাদিক ইউনয়নের সভাপতি আবু তাহের, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী, কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মুজিবুর রহমান, অতিরিক্ত শরনার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার শামসুদ্দোজা চৌধুরী নয়ন, ট্যুরিস্ট পুলিশের পুলিশ সুপার জিল্লুর রহমান, সদর ইউএনও সুরাইয়া আকতার সুইটি, কক্সবাজার পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি নজিবুল ইসলাম, নইমুল হক চৌধুরী টুটুল, এড. রনজিত দাশ প্রমুখ।