বুধবার দুপুরে গণমাধ্যমকে এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের সিনিয়র সহকারী পরিচালক ইমরান খান।
তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রবিরোধী উস্কানিমূলক ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে তাকে আটক করা হয়েছে। পরবর্তীতে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
‘রফিকুল ইসলাম মাদানী সাহেব আমাদের হেফাজতে রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এ বিষয়ে পরে বিস্তারিত জানানো হবে। ’ বলেও জানান তিনি।
এর আগে দুপুরের দিকে বাংলাদেশ হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক তার ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে লিখেন, ‘মাওলানা রফিকুল ইসলাম মাদানি র্যাব এর নিরাপত্তায় আছে মর্মে নিশ্চিত হয়েছি। অবিলম্বে তার মুক্তির দাবি করছি!’
এর কিছুক্ষণ পরই মাদানিকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে র্যাব।
ইসলামী দলগুলোর বিভিন্ন কর্মসূচিতে সক্রিয় রফিকুলের বয়স ২৫ বছর হলেও আকার-আকৃতির জন্য তাকে ‘শিশু বক্তা’ বলে ডাকেন তার ভক্তরা।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের প্রতিবাদে গত ২৫ মার্চ যুব অধিকার পরিষদের ব্যানারে বিক্ষোভ করার সময় ঢাকার মতিঝিল এলাকা থেকে রফিকুলকে আটক করেছিল পুলিশ। পরে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। ওই ঘটনার মামলায়ও তাকে আসামি করা হয়নি।
শিশুবক্তা হিসেবে পরিচিত রফিকুল ইসলামের গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনায়। থাকেন ঢাকার অদূরে গাজীপুরে। তিনি বিএনপি-জামায়াত জোটের শরিকদল জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের অঙ্গসংগঠন যুব জমিয়তের নেত্রকোনা জেলার সহ-সভাপতি।
নেত্রকোনা জেলার পশ্চিম বিলাশপুর সাওতুল হেরা মাদ্রাসার পরিচালক রফিকুল ইসলাম রাবেতাতুল ওয়ায়েজিনের সঙ্গে যুক্ত আছেন।
মদিনা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা না করেও নামের শেষে ‘মাদানী’ উপাধি ব্যবহার করে ওয়াজ মাহফিল করায় রফিকুল ইসলামকে একটি আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছিল। ১৫ ফেব্রুয়ারি এই আইনি নোটিশ পাঠান সুপ্রিম কোর্টের একজন আইনজীবী।
আগে থেকে সোশ্যাল প্ল্যাটফরমগুলোতে পরিচিতি থাকলেও আইনি নোটিশ পাঠানোর পর আলোচনায় আসেন ‘শিশুবক্তা’ রফিকুল।