২০১৯ সালে আফগানিস্তান সিরিজ দিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের দায়িত্ব গ্রহণ করেন দ. আফ্রিকান রাসেল ডমিঙ্গো। প্রথম অ্যাসাইনমেন্টেই তার অধীনে টেস্ট ম্যাচ হারে বাংলাদেশ। এরপর বেশ কয়েকটি সিরিজেই টাইগাররা সাফল্যের ছাপ রাখতে পারেনি। দায়িত্ব নেয়ার দুই বছর পর ডমিঙ্গোর নামের পাশে প্রশ্নবোধক চিহ্ন এঁকে দিচ্ছেন নীতিনির্ধারকদের কেউ কেউ। গুঞ্জন, বোর্ড প্রধান নাজমুল হাসান পাপনও সন্তুষ্ট নন কোচের পারফরম্যান্সে।
আসন্ন শ্রীলঙ্কা সফরে তাই কোচকে কঠিন পরীক্ষা দিতে হবে বলে মনে করছেন অনেকে। এ বিষয়ে ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান আকরাম খান জানান, আমরা কোচদের মূল্যায়ন করবো শ্রীলঙ্কা সিরিজের পর। ক্রিকেটারদের কেন্দ্রীয় চুক্তি এরপরই চূড়ান্ত করবো। এজন্য এ সিরিজটি খুব গুরুত্বপূর্ণ সবার জন্যই।
তিনি আরও জানান, ক্রিকেটারসহ ডমিঙ্গোদের পারফরম্যান্স খুব কাছ থেকে দেখতে দ্বীপরাষ্ট্রে টিম লিডার হিসেবে পাঠানো হচ্ছে খালেদ মাহমুদ সুজনকে।
টেকনিক্যাল দিক থেকে অন্য যে কারো থেকে সুজনের চোখে সবকিছু ধরা পড়বে এমনটা বিশ্বাস করেন নীতিনির্ধারকরা। এজন্য ধরা-ই যায়, সুজনের কাঁধে ডমিঙ্গোর ভবিষ্যৎ অনেকটাই নির্ভর করছে।
জাতীয় দলের কোচ হিসেবে ডমিঙ্গোর মাসিক বেতন ১৫ হাজার ডলার। বাংলাদেশি টাকায় যা ১২ লাখ ৬৮ হাজার। গুঞ্জন রয়েছে, জাতীয় দলের কোচিং প্যানেল থেকে ছাঁটাই হলে তাকে এইচপি দলে পাঠানো হতে পারে।
সবশেষ ডমিঙ্গোর অধীনে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ৩-০ ব্যবধানে ওয়ানডে এবং একই ব্যবধানে টি-টোয়েন্টি সিরিজ হারে টিম টাইগার। তার অধীনে তিন সংস্করণ মিলিয়ে ৩০ ম্যাচ খেলে ১৭টিতেই হেরেছে বাংলাদেশ দল। জয় ১৩টিতে। টেস্টে ৬ ম্যাচ খেলে ১টি জয়, ওয়ানডেতে ৯ ম্যাচে জয় ৬টি এবং টি–টোয়েন্টিতে ১৪ ম্যাচে জয় ৬টিতে।