ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার হলিধানী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী সুমাইয়া ইসলাম ওরফে শ্রাবণীকে (৮) হত্যার দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত তিন আসামি যশোর কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। তারা হলেন এলাকার কলম চৌধুরী, সাইফুল ইসলাম ও রোমান আহমেদ।
এর আগে ২০১৩ সালের ২৮ মে খুলনা বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আক্তার হোসেন তাদের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও প্রত্যেক আসামিকে ২৫ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও দু’বছর করে সশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দেন। এরপর থেকে তারা কারাগারে আটক ছিলেন।
উল্লেখ, ২০১১ সালের ১২ ডিসেম্বর পরীক্ষা শেষে বাড়ি ফেরার পথে শ্রাবণীকে অপহরণ করা হয়। ওই তিনজন এক লাখ টাকা মুক্তিপণ না পেয়ে শ্রাবণীকে শ্বাসরেধে হত্যার পর মরদেহ গুম করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হরিণাকুণ্ডু থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কামরুজ্জামান প্রথমে মাইক্রোবাসের চালক রোমান আহম্মেদকে আটক করেন। পরে তার স্বীকারোক্তিতে কলম ও সাইফুলকে আটক করা হয়।
এ বিষয়ে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের হাজতি শাখার দায়িত্বে থাকা ডেপুটি জেলার রাসেল আহমেদ বলেন, বৃহস্পতিবার ঝিনাইদহ আদালত থেকে আসামিদের জামিননামা এসেছে। শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর তাদেরকে ছেড়ে দেয়া হয়। তারা যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে কয়েদি হিসেবে বিভিন্ন বিভাগে ম্যাটের দায়িত্ব পালন করেছেন।
এদিকে, জামিনে মুক্তির পর তারা জানান, আটকের পর প্রথমে তারা ঝিনাইদহ কারাগারে ছিলেন। সাড়ে ৫ বছর আগে তারা যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে আসেন। দীর্ঘ নয় বছর পর তারা বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন।