জেলার সোনালী ব্যাংক মোড় সড়কে প্যাকেটগুলো সারিবদ্ধভাবে সাজিয়ে রেখে দেয়া হয়। রমজানের শুরু থেকে বিকেল ৫টার দিকে এ খাবারের প্যাকেট দেয়া হচ্ছে। বিকেল ৪টার দিকে ৫০ প্যাকেট ইফতার তৈরির কাজ শুরু করা হয়। ৫টার দিকে শহরের সোনালী ব্যাংক মোড়ের রাস্তায় ইফতারির প্যাকেট সাজিয়ে দেয়া হয়।
জানা যায়, রাস্তা দিয়ে রিকশাচালক গেলে তাদেরকে জিজ্ঞেস করা হয় রোজা আছেন কিনা। রোজা থাকলে এক প্যাকেট খাবার ও ১টি পানির বোতল দেয়া হয়। এসব কার্যক্রম পরিচালনা করেন ‘পটুয়াখালীবাসী’ নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।
সংগঠনের আহ্বায়ক রায়হান আহমেদ জানান, গত দুইদিন থেকে ৫০টি খাবারের প্যাকেট রোজাদার রিকশাচালকদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। আজকেও বিতরন করা হয়। প্রতি প্যাকেটে আমরা ছোলা, মুড়ি, পেঁয়াজু, বেগুনি, আলুর চপ, খেজুর ও জিলাপি ও সাথে একটি পানির বোতল দিচ্ছি। বিত্তবানদের সহায়তায় এ কার্যক্রম করা হয়।
তিনি বলেন, আমরা ৫ জন খাবার প্যাকেট করে সোনালী ব্যাংক মোরের রসাতায় সাজিয়ে রেখে দেই। রিকশাচালক ছাড়া আর কেউ যাতে খাবার নিতে না পারে, সেজন্য আমরা দাঁড়িয়ে থাকি। অনেক সংগঠনই খাবার দেয়ার সময় ছবি তোলে। কিন্তু রিকশাচালকরা খাবার নেয়ার সময় এখানে কোনো ছবি তোলা হয় না।