শনিবার ভোরে ঢাকা মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। উমামা বেগম বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক উপকমিটির সদস্য ও ছাত্রলীগের সাবেক নেত্রী ছিলেন। এ ঘটনায় ভেঙে পড়েছেন নিহতের স্বজনরা। এ ঘটনার সুষ্ঠ বিচার দাবি করেন তারা। এবিষয়ে পল্লবী থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত কর্মকর্তা) মো. মামুন বলেন, এ ঘটনায় অভিযুক্ত স্বামী মো. ওমর আলীকে (৫২) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বিরুদ্বে হত্যা মামলা হয়েছে।
তদন্ত কর্মকর্তা মো. মামুন বলেন, শুক্রবার (২৩ এপ্রিল) আনুমানিক রাত ১২ টার মধ্যে এমন ঘটনা ঘটে । ওই দম্পতি মিরপুর ডিওএইচএস এর একটি বাসায় থাকতো। নিহতের স্বামী প্রবাসী ছিল, করোনাকালে কোন কাজ না করায় তাদের মধ্যে মনোমালিন্যের সৃষ্টি হয়, সেখান থেকেই ঘটনার সূত্রপাত।
এই তদন্ত কর্মকর্তা আরো বলেন, বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে ওমর আলী গৃহবধূকে অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। এরপর তাকে আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজে নেয়া হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
পাড়িবারিক সূত্রে জানা যায়, দুটি সন্তান নিয়ে প্রায় ২১ বছরের সংসার উমামা বেগম কনকের। তবে বেশ কিছুদিন ধরেই স্বামীর সঙ্গে বনিবনা হচ্ছিল না তার। আর এর জের ধরেই শুক্রবার (২৩ এপ্রিল) রাত বারোটার দিকে স্বামীর হাতে মারাত্মকভাবে জখম হন তিনি। পরে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর তার মৃত্যু হয়।