এসবের মধ্যে রয়েছে অক্সিজেন যন্ত্র, র্যাপিড টেস্ট কিট ও ব্যক্তিগত সুরক্ষাসামগ্রী। খবর এনডিটিভির।
গতকাল সোমবার পেন্টাগনের প্রেস সেক্রেটারি জন কারবি বলেন, ‘অল্প কয়েক দিনের মধ্যে সহায়তা পাঠানো শুরু করতে যাচ্ছে পেন্টাগন। যত দ্রুত সম্ভব জরুরি সহায়তা পাঠাতে আমরা পরিবহন ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সুবিধাও দেব।’
কারবি আরও বলেন, ভারতের সঙ্গে অংশীদারি সম্পর্ককে গভীরভাবে মূল্যায়ন করে যুক্তরাষ্ট্র। তিনি বলেন, ‘ভারতের মানুষ যেভাবে এই মহামারির সঙ্গে সাহসিকতার সঙ্গে লড়াই করে যাচ্ছে, তাদের সাহায্য করতে আমরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।’
এর আগে সপ্তাহান্তে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন বলেন, ভারতে অক্সিজেনসামগ্রী, র্যাপিড টেস্ট কিড, ব্যক্তিগত সুরক্ষাসামগ্রীসহ অন্যান্য জরুরি উপকরণ পাঠাতে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে তিনি কাজ করছেন।
কারবি বলেন, ‘ভারতের সম্মুখসারির যোদ্ধাদের যেকোনো ধরনের সহায়তা নিশ্চিত করতে আমরা দেশটির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রাখছি। সামনের দিনগুলো আমাদের মিত্র ও সমমনা দেশগুলোর মধ্যে সমন্বয়তা বাড়াতে হবে। আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টাগুলো সুসংহত করার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। এই সংকটকে সর্বোচ্চভাবে রুখে দিতে হবে।’
ভারতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ও মৃত্যুতে প্রতিদিনই নতুন রেকর্ড হচ্ছে। করোনা মহামারির দ্বিতীয় ঢেউয়ে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিসহ দেশটির বিভিন্ন শহরের অধিকাংশ হাসপাতালে এখন আর শয্যা ফাঁকা নেই। এ কারণে ঘরে বসেই চিকিৎসা নিতে বাধ্য হচ্ছেন রোগীরা। কিন্তু ঘরে বসেও চিকিৎসা পেতে তাঁদের দারুণ বেগ পেতে হচ্ছে। অনেকটা মরিয়া হয়ে লড়াই করতে হচ্ছে। কারণ, অক্সিজেন সিলিন্ডার, জরুরি ওষুধসহ প্রয়োজনীয় সামগ্রী দোকানে পাওয়া যাচ্ছে না। এগুলো কালোবাজার থেকে চড়া দামে কিনতে হচ্ছে ভুক্তভোগীদের।