জামালপুরের মেলান্দহে ধর্ষনের শিকার হয় ৩০ বছর বয়সী এক বুদ্ধি প্রতিবন্ধী নারী। ওই নারী ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তাকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

গ্রেপ্তারকৃত হাবিল উদ্দিনকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে এনে ধর্ষিতার মুখোমুখি করে পুলিশ। ধর্ষিতা হাবিল উদ্দিনকে শনাক্ত করেছেন। রাত ১১টায় মেলান্দহ থানায় ধর্ষিতার মা মালিহা বেগম বাদি হয়ে ধর্ষক হাবিল উদ্দিনকে আসামী করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে ওসি মাঈনুল ইসলাম জানিয়েছে।

ধর্ষিতার পরিবার জানায়, মুদি দোকানদার হাবিল উদ্দিন বাক প্রতিবন্ধীকে খাবারের লোভ দেখিয়ে ফুঁসলিয়ে দোকানের অভ্যন্তরে নিয়ে জোরপুর্বক ধর্ষণ করে। কাউকে ঘটনা না বলার জন্য ভয়ভীতি দেখিয়ে হাবিল উদ্দিন আরো তিনদিন ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে ধীরে ধীরে অসুস্থ্য হয়ে পড়ে ধর্ষণের শিকার বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ওই নারী। যতই দিন যায় অবস্থার অবনতি হলে এলাকায় ঘটনাটি জানাজানি হয়।

মঙ্গলবার বিকালে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় বুদ্ধি প্রতিবন্ধী নারীকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সেখানে কর্তব্যরত ডাক্তার পরীক্ষা নিরীক্ষা করে ওই বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা বলে নিশ্চিত করেছেন।

ওসি আরো জানিয়েছেন, হাবিল উদ্দিনকে বুধবার আদালতে সোপর্দ করা হবে।

পাশবিক ঘটনায় জড়িত বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ধর্ষনকারী হাবিল উদ্দিনের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী। দাবি জানিয়েছেন নারী সংগঠন, মানবাধিকার সংগঠন,সামাজিক- সাংস্কৃতিক সংগঠন জামালপুরের নানা শ্রেণীপেশার মানুষ।

ঝাউগড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আঞ্জু মনোয়ারা হেনা ন্যাকারজনক এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি জানান।