নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার সাহেব বাজার এলাকায় ব্ল্যাক টোব্যাকো কোম্পানি নামের একটি অবৈধ সিগারেট কারখানায় এবং গোডাউনে অভিযান চালিয়েছে র্যাব-১১-এর একটি দল। অভিযানে সেনার গোল্ড স্ট্যাইল, বস, ও ব্ল্যাক এক্সএল ব্র্যান্ডের বিপুল পরিমাণ রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া অবৈধ সিগারেট, ১৯ হাজার ৭০০ পিস পুনঃব্যবহৃত ব্যান্ডরোল এবং ২ হাজার ৭৩০ কেজি কাট টোব্যাকো জব্দ করা হয়।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১১ নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জসীম উদ্দিনের নেতৃত্বে গত সোমবার রাত ১২টায় ব্ল্যাক টোব্যাকো কোম্পানিতে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব-১১-এর একটি বিশেষ দল। র্যাব সূত্রে জানা যায়, ব্ল্যাক টোবাকো কোম্পানি দীর্ঘদিন ধরে রাজম্ব ফাঁকি দিয়ে রি ইউজড ব্যান্ড রোল ব্যবহার করে সিগারেট উৎপাদন ও বাজারজাত করে আসছে। ফ্যাক্টরির নিকটে কোম্পানির গোডাউনে বিপুল পরিমান রাজস্ব ফাঁকিকৃত অবৈধ সিগারেট এবং রি-ইউজড ব্যান্ড রোল মজুদ রেখেছে। দীর্ঘদিন গোয়েন্দা নজরদারীর মাধ্যমে সত্যতা নিশ্চিত হয়ে র্যাব-১১-এর একটি দল অভিযান পরিচালনা করে ব্ল্যাক টোবাকো কোম্পানির সিগারেট ফ্যাক্টরি এবং গোডাউন হতে ১১ কার্টুন রি-ইউজড ব্যান্ডরোল, বিপুল পরিমান অবৈধ সিগারেট ও কাট টোব্যাকো উদ্ধার করে।
র্যাব-১১ নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জসীম উদ্দিন বলেন, পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ও কলকারখানার কোনো লাইসেন্স না থাকা সত্ত্বেও দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে সিগারেট উৎপাদন করে আসছিলো ব্ল্যাক টোব্যাকো কোম্পানি।
স্বাক্ষীদের মোকাবেলায় উল্লেখিত আলামত জব্দ করা হয়। এ বিষয়ে কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট ডিভিশন নরসিংদীর বিভাগীয় কর্মকর্তা আব্দুল বাতেন বলেন, বেশকিছু দিন ধরে কোম্পানিটি রি ইউজড ব্যান্ডরোল ব্যবহার করে সিগারেট উৎপাদন করে আসছিলো। ভ্যাট আইনের অধিনে কোম্পানির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।