বাগেরহাট জেলা (৩ জানুয়ারী) রবিরার দুপুরে যোগদান করেন আ ন ম ফয়জুল হক। তিনি গত প্রায় পাঁচ মাসে বাগেরহাট বাসির মনে স্থান করে নিয়েছেন। তিনি বাগেরহাটবাসীর সব সুখ দুঃখে পাশে থেকেছেন, অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন, বিভিন্ন সামাজিক কাজ করেছেন।
আজ সোমবার (১৭মে) তার একটি ফেসবুকে আবেগঘন পোষ্টে সাধারণ মানুষ তাদের মনের কথা প্রকাশ করে নিচে হুবহু তার পোস্টটি তুলে ধরে জেলা প্রশাসক আ ন ম ফয়জুল হক,তার মনের আবেক কথা সম্মানিত বাগেরহাটবাসী। আপনারা ইতিমধ্যে জেনে গেছেন আমার বদলীর আদেশ হয়েছে। অনেকেই ফোন করেছেন। বিভিন্ন পেশাজীবী ফোরাম থেকে বলেছেন আমরা সরকারের কাছে দাবি জানাতে চাই যে আপনাকে যেতে দেব না। আপনার আদেশ প্রত্যাহার করে ছাড়ব; ইত্যাদি ইত্যাদি।
বিগত পাঁচ মাস আমি আপনাদের সঙ্গে কাজের সুযোগ পেয়েছিলাম তাতেই আমি আপনাদের ভালবাসা ও আন্তরিকতায় মুগ্ধ। অনেকে জানতে চেয়েছেন কেন হঠাৎ এ আদেশ? আসলে সরকারি আদেশের ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট কারণ বলা যায় না৷ তবে আমি এ জেলায় দায়িত্ব গ্রহণের আগে স্থানীয় সরকার বিভাগে থাকতে ঘটে যাওয়া একটা বিষয় নিয়ে নাকি কে একজন বাগেরহাটের মোল্লাহাটের ছেলে কেবিনেটে অভিযোগ দায়ের করেছে। সেটি আমার মনে হয় আপনাদের একটু বলা প্রয়োজন, না হলে সোশাল মিডিয়ার অপব্যবহারের মাধ্যমে জেলা প্রশাসক এর ঐতিহ্যবাহী পদটিকে সম্মানহানী করার চেষ্টা করা হতে পারে।
আপনাদের বাগেরহাটেরই মোল্লাহাটের ঐ ছেলে, ফেসবুকে বিডি প্রথম আলো নামে একটা পেজ খুলে (পেজটি একদম নতুন খোলা হয়েছে এবং সংবাদ মাধ্যম হিসেবে এর কোনো ভিত্তি আছে বলে জানা নেই) সেখানে তার পারিবারিক বিষয়ে আমাকে জড়িয়ে মিথ্যা বানোয়াট কিছু কথা লিখে অনবরত নিজস্ব কিছু লোকজন দিয়ে সেটিকে ভাইরাল করে। ফেসবুকে আপনারাও অনেকে এটা দেখেছেন।
আমার বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়টি হয়তো উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট তদন্তাধীন তাই বিস্তারিত বলার সুযোগ নেই৷ তবে আমি এবং আমার পরিবার আমাদের নিজেদের অবস্থানে আত্মবিশ্বাসী৷ আমি বলতে পারি যে ঐ অভিযোগে আমার কোনো দায় নেই৷ আমার সারল্যের সুযোগ নিয়ে এমন বানোয়াট অভিযোগ তৈরি করা হয়েছে৷
দু:খজনক হলেও সত্যি আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের বিষয়ে এখনও আমার নিকট থেকে কোনওরূপ বক্তব্য নেয়া হয়নি বা অভিযোগকারীকে আমি নিজেই চিনি না, অভিযোগের কপিটিও আমি অফিসিয়ালি পাইনি। আমার বদলির পেছনে এটি ছাড়া অন্য কোনো বিষয়ও থাকতে পারে৷ একজন সরকারি কর্মচারী হিসেবে জনস্বার্থে সরকারের আদেশ বিনাবাক্যব্যয়ে মেনে নেয়া আমার দায়িত্ব৷
যাই হোক, এটা সত্যি কথা যে আরো কিছুদিন আপনাদের সঙ্গে কাজ করতে পারলে আপনাদের সুখে দুখে পাশে থাকতে পারলে আমার ভাল লাগত। যেহেতু সরকারি আদেশ, প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হিসেবে আমাকে মেনে চলতে হবে, তাই নতুন জেলা প্রশাসকের নিকট অতি দ্রুতই দায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়ে চলে যাব। তবে খারাপ লাগবে নি:সন্দেহে কারণ এত অল্প সময়েও আমি বাগেরহাটের মানুষকে ভালবেসেছিলাম।
কত-কত কাজে হাত দিয়েছিলাম। যাবার বেলায় যত কথাই বলি বাগেরহাটের মানুষ আর এখানের শিশু পরিবার ও সেফ হোমের বাচ্চাগুলোর জন্য ভীষণ ভীষণ কষ্ট হবে। যখন চলে যাব তখন দড়াটানা নদীর ব্রিজের ওপরে গাড়ীর জানালা থেকে দড়াটানা নদীর দিকে তাকিয়ে কষ্টে চোখ ভিজে যাবে! মনে হবে আমার জীবন দর্শনের কথা
আ ন ম ফয়জুল হক বলেন।
“কোথায়, কখন, কবে, কোন তারা ঝরে গেলো আকাশ কী মনে রাখে”৷ তার পোস্টে দেখা যায় সাধারণ মানুষের আবেগঘন কমেন্ট যেটা মনে নাড়া দিয়ে যায়
মোঃমনিরুল ইসলাম নামের একজন কমেন্ট করেন “খুবই দুঃখ পেলাম স্যার৷ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, বাগেরহাট বাসীর এই আকুতি আপনি বোঝার চেষ্টা করুন৷ এই বদলির আদেশ দয়া করে প্রত্যাহার করুন৷ কোন অভিযোগ থাকলে যথাযথ তদন্তের পরে প্রমাণিত হলে বদলি বা শাস্তি দিয়েন৷ তবু এমন একজন মহৎ মানুষকে অপমানের হাত থেকে রক্ষা করুন৷ বাগেরহাট জেলা ছাত্রলীগ মনে কথা সে আরা বাগেরহাট থাকু।
রনি হাসান নামের এক জন জানান”সকালে ফেসবুকের সর্বপ্রথম খারাপ লাগার মতো যে নিউজটা পেয়েছিলাম সেইটা হলো স্যার আপনার বদলির সংবাদ। খবরটা দেখামাত্র অনেকটা আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলাম। পূর্বে কখনো কোনো জেলা প্রশাসককে দেখিনাই আপনার মতো করে মাঠ পর্যায়ে কাজ করতে। অল্প সময়ে আপনি আমাদের বাগেরহাটের জনগণের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছিলেন। যেহেতু সরক
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাছে বাগেরহাট বাসি দাবি আ ন ম ফয়জুল হক সেযেনো বহাল তাকে।