মঙ্গলবার তিউনিশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, অভিবাসীরা ভূমধ্যসাগর হয়ে লিবিয়া থেকে ইউরোপ যাওয়ার সময় নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে। রবিবার লিবিয়ার বন্দর জুওয়ারা থেকে নৌকাটি ৯০ জনের বেশি যাত্রী নিয়ে সাগরপথে ইউরোপের উদ্দেশে রওনা দেয়।
আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইএমও)-এর এক মুখপাত্র ফ্লাভিও ডি জিয়াকমো বলেন, জীবিতদের সংখ্যা ৩৩ জন, এদের সবাই বাংলাদেশি। তিনি আরও বলেন, অন্তত ৫০ জন নিখোঁজ রয়েছে। তাদের জাতীয়তা সম্পর্কে আমাদের কাছে কোনও তথ্য নেই।
নৌকাডুবির কারণ সম্পর্কে জানা যায়নি। কিন্তু উত্তর আফ্রিকার উপকূল থেকে ইউরোপগামী নৌকাগুলো বেশিরভাগ সময় অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে রওনা দেয়, অনেক সময় রাতের অন্ধকারে প্রতিকূল আবহাওয়ায় সাগর পাড়ি দেওয়ার চেষ্টা করে। কোস্টগার্ডের চোখ এড়াতে এমন ঝুঁকি নেওয়া হয়।
জাতিসংঘের মতে, গত বছর ভূমধ্যসাগরে অন্তত ১২০০ অভিবাসীর মৃত্যু হয়েছে। অবৈধপথে ইউরোপগামী অভিবাসীদের জন্য লিবিয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ পথ। আইওএম’র মতে, ২০২১ সালে এখন পর্যন্ত ৫ শতাধিক অভিবাসীর মৃত্যু হয়েছে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিতে গিয়ে।
এর আগে সোমবার তিউনিশিয়ার নৌবাহিনী জানায়, তারা বাংলাদেশ ও সুদান থেকে যাওয়া শতাধিক অভিবাসীকে উদ্ধার করেছে। তাদের নৌকাটি ডুবে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল। রবিবার রাতেও একাধিক নৌযান থামিয়েছে লিবিয়ার কোস্টগার্ড। এসব নৌকাকে সাগর থেকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। দু’দিন আগে সাগরে প্রায় ৬৮০ জন অভিবাসীকে থামানোর পর ফেরত পাঠানো হয়। চলতি বছর এখন পর্যন্ত প্রায় ৯ হাজার জনকে সাগরে থামিয়ে লিবিয়ায় পাঠানো হয়েছে।