রোববার বিকেলে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্ত হওয়ার পর তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। এরপর তাকে হুইল চেয়ারে বসিয়ে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়েছে। শারীরিক সমস্যার কারণে তাকে হাসপাতালে আনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তার স্বামী মনিরুল ইসলাম মিঠু।
এর আগে রোববার সকালে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের করা দণ্ডবিধি ও অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টের মামলায় রোজিনার জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন ভার্চুয়াল আদালত। ৫ হাজার টাকা মুচলেকা ও পাসপোর্ট জমা দেওয়ার শর্তে তিনি জামিন পান।
১৭ মে পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে যান। সেখানে ৫ ঘণ্টার বেশি সময় তাকে আটকে রেখে হেনস্তা করা হয়। একপর্যায়ে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। রাত ৯টার দিকে তাকে সচিবালয় থেকে শাহবাগ থানায় নেওয়া হয়। তার বিরুদ্ধে অনুমতি ছাড়া মোবাইল ফোনে সরকারি গুরুত্বপূর্ণ নথির ছবি তোলা এবং আরও কিছু নথি লুকিয়ে রাখার অভিযোগ এনেছে মন্ত্রণালয়। ওই রাতেই তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়। পরদিন সকালে তাকে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন জানিয়ে আদালতে তোলা হয়। আদালত রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠান।
প্রসঙ্গত, রোজিনা ইসলামকে যে মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে অর্থাৎ অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টটি প্রায় ১০০ বছরের পুরোনো একটি আইন।