বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় চলতি বছরের ৩০ জুন থেকে প্রচলিত ম্যানুয়াল পদ্ধতির পরিবর্তে অনলাইন ভূমি উন্নয়ন কর আদায় করা হবে। ভূমি উন্নয়ন কর বা জমির খাজনা ব্যবস্থাকে ডিজিটাল করার কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে । এতে ভূমি মালিকরা ইউনিয়ন ভূমি অফিসে না গিয়ে ঘরে বসে কিংবা যেকোনো জায়গা থেকেই খাজনা পরিশোধ করে দাখিলা সংগ্রহ করতে পারবেন।
ইতোমধ্যেই উপজেলার সব ইউনিয়নে মৌজাওয়ারী ভূমি মালিকের তথ্য অনলাইনে এন্ট্রি করার কার্যক্রম শুরু করেছেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাবরিনা শারমিন।
উপজেলা ভূমি অফিস থেকে রেজিস্ট্রেশনের জন্য মোবাইল নম্বর, পাসপোর্ট সাইজের ছবি, জাতীয় পরিচয়পত্র, পূর্ববর্তী দাখিলার কপি এবং প্রয়োজনে খতিয়ানের কপি ও দলিল নিয়ে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন ভূমি অফিসে যোগাযোগ করে ফ্রি রেজিস্ট্রেশন করার জন্য জমি মালিকদের আহ্বান জানানো হয়েছে।
এ কার্যক্রমকে স্বাগত জানিয়ে জমি মালিকরা উপজেলার ইউনিয়ন ভূমি অফিসগুলোতে রেজিস্ট্রেশনের জন্য ভিড় করছেন।
ঘরে বসেই ভূমি মালিকরা www.land.gov.bd অথবা www.ldtax.gov.bd ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে মোবাইল নম্বর, ন্যাশনাল আইডি কার্ড নাম্বার ও জন্মতারিখ লিখতে হবে। এরপরই মোবাইল ফোনে একটি ৬ ডিজিটের কোড যাবে। মোবাইলে আসা কোড লিখে পরবর্তী বাটনে ক্লিক করলে নিবন্ধন সম্পন্ন হবে। নিবন্ধন সম্পন্ন হলে প্রোফাইলের জন্য একটি পাসওয়ার্ড দিয়ে আইডিতে লগইন করতে হবে।
আইডিতে প্রবেশ করে খতিয়ান অপশনে গিয়ে খতিয়ানের তথ্য দিলেই কাজ শেষ। পরবর্তী কাজ তহশিলদার করবেন। পরবর্তীতে এই আইডি থেকে ঘরে বসেই ভূমি উন্নয়ন কর দেয়া যাবে।
ভূমি মালিকরা যদি নিজেরা এটা সম্পন্ন করতে না পারেন, তাহলে ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারে উদ্যোক্তাদের সহযোগিতা নিয়ে নিবন্ধন করতে পারেন। এক্ষেত্রে প্রতিটি নিবন্ধনের জন্য উদ্যোক্তারা ভূমি অফিস থেকে ১০ টাকা করে পাবেন। নাগরিকদের কোনো খরচ বহন করতে হবে না। এছাড়াও সংশ্লিষ্ট তহশিল অফিসে গিয়ে বিনা খরচে অনলাইন কার্যক্রম সম্পন্ন করা যাবে।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাবরিনা শারমিন বলেন, ‘‘উপজেলার ভূমির খাজনা ব্যবস্থাকে ডিজিটাল করার কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। চলতি বছরের জুলাই মাস থেকে সব ভূমি উন্নয়ন কর অনলাইনে নেয়া হবে।’’