প্রতিপক্ষের জমাট রক্ষণের বাধায় প্রথমার্ধে খুব একটা আক্রমণে পেরে না উঠলেও দ্বিতীয়ার্ধে ঘুরে দাঁড়ায় পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। দুর্দান্ত খেলতে থাকা রিচার্লিসন ও নেইমারের গোলে ইকুয়েডরকে হারিয়ে দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের শীর্ষস্থানের মজবুত করল সেলেসাওরা।
আজ শনিবার সকালে নিজেদের ঘরের মাঠ পোর্তো আলেগ্রের স্তাদিও বেইরা-রিওতে ২-০ গোলে জিতেছে নেইমাররা। রিচার্লিসন গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর সফল স্পট কিকে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন নেইমার। তবে প্রথম গোলের যোগান দাতাও ছিলেন এই নেইমার। আর্জেন্টিনার সঙ্গে হার দিয়ে বিশ্বকাপ মিশন শুরু করলেও বদলে যায় ইকুয়েডর। উরুগুয়ে, বলিভিয়া, কলম্বিয়ার মতো শক্তিশালী দলগুলোর বিপক্ষে বড় জয়ের আত্মবিশ্বাস নিয়ে ব্রাজিলে আসে তারা। ম্যাচের শুরু থেকেই সে-শক্তির জানান দিতে থাকে ইকুয়েডর। তাতে বেশ পরিশ্রম করতে হয়েছে নেইমার-রিচার্লিসনদের। তবে বেশ অরক্ষিতই থেকে গেলেন চোট কাটিয়ে দলে ফেরা ব্রাজিলিয়ান গোলরক্ষক অ্যালিসন বেকার।
২০তম মিনিটে প্রথম উল্লেখযোগ্য সুযোগ পায় ব্রাজিল। নেইমারের নেওয়া ফ্রি কিকে ঠিক মতো পা ছোঁয়াতে পারেননি রিচার্লিসন। তাতেই রক্ষা পায় ইকুয়েডর। ৪১তম মিনিটে বল জালে জড়ান বারবোসা। কিন্তু তিনি অফসাইডে থাকায় গোলটি বাতিল হয়। দুই মিনিট পর নেইমারের দূর পাল্লার শট পোস্ট ঘেঁষে বেরিয়ে। দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণের পসরা বাড়ায় পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। ৬৫তম মিনিটে ব্রাজিলকে লিড এনে দেন রিচার্লিসন। নেইমারের কাছ থেকে বল পেয়ে গোলরক্ষকের পাশ ঘেঁষে বুলেট গতির শটে বল জালে জড়ান তিনি।
শেষের দিকে আনহেলো প্রেসিয়াদো জেসুসকে ফাউল করলে ভিএআরের সাহায্য নিয়ে পেনাল্টি দেন রেফারি। কিন্তু নেইমারের দুর্বল স্পট কিক সহজেই ঠেকিয়ে দেন প্রতিপক্ষের গোলরক্ষক দমিনগেস। কিন্তু নেইমারের শট নেওয়ার আগে তার পা লাইন থেকে বেরিয়ে আসায় আবারও স্পট কিকের সুযোগ পায় ব্রাজিল। তাতে অসন্তোষ জানিয়ে হলুদ কার্ড দেখেন দমিনগেস। তবে দ্বিতীয় শটে আর ভুল করেননি নেইমার। দারুণভাবে বল জালে পাঠিয়ে গোল উৎসবে মাতেন পিএসজির এই ফরোয়ার্ড।
এ নিয়ে পাঁচ ম্যাচে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে ব্রাজিল। সমান ম্যাচে তিন জয় ও দু্ ড্রয়ে ১১ পয়েন্ট নিয়ে দুই নম্বরে রয়েছে আর্জেন্টিনা। ৯ পয়েন্ট নিয়ে তিনেই ইকুয়েডর। আগামী বুধবার প্যারাগুয়ের মুখোমুখি হবে ব্রাজিল।