তিনি বলেন, সরকার দেশের মানুষের স্বাস্থ্যসেবার জন্য যথেষ্ট সচেতন। আজ সোমবার দিনাজপুর জেলার বিরল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নে এসব কথা বলেন তিনি।
করোনা পরিস্থিতিতে সবাইকে সরকারঘোষিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, করোনায় আক্রান্ত ও শনাক্তের হার বাড়ার একমাত্র কারণ অসচেতনতা। সবাই সচেতনতা দেখাতে পারলে করোনা থেকে বাংলাদেশের মানুষকে রক্ষা করা যাবে।
তিনি বলেন, দায়িত্বশীল অনেকেই সচেতনতার আইনটা মানছেন না। জনগণতো আমাদের থেকেই দেখে। যারা দায়িত্বশীল পদে আছেন সচেতনতার বিষয়ে তাদের দায়িত্বশীল হবে। যাদের জনগণ অনুসরণ করে, যাদের কথা জনগণ শুনে, তাদের স্বাস্থ্যবিধি বেশি মেনে চলতে হবে। তারা যদি স্বাস্থ্যবিধিটা মেনে চলেন, তাহলে সাধারণ মানুষও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবে। নিজে না মানলে জনগণকে মানানো যাবে না।
ভ্যাকসিন নিলেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, করোনা নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত আমাদের এ স্বাস্থ্যবিধিটা মেনে চলতে হবে। এটা বাধ্যতামূলক। এটা না করলে নিজেরাও ঝুঁকির মধ্যে চলে যাব। অন্যকেও ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দেব। টিকা কেনার বিষয়ে তিনি বলেন, চীন-রাশিয়াসহ অন্যান্য দেশের সঙ্গে কথা-বার্তা হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুমোদিত টিকাই সরকার দেশের জনগণের জন্য আনবে। অনুমোদনহীন কোনো টিকা বাংলাদেশ সরকার আনতে পারে না।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিরল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিনাত রহমান, পৌর মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সবুজার সিদ্দিক সাগর, সাধারণ সম্পাদক রমা কান্ত রায়, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. আবদুল কুদ্দুস, বিরল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফখরুল ইসলাম প্রমুখ।