ঢাকার ধামরাইয়ে প্রেমিকের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে এক কলেজছাত্রী গত ৪ দিন ধরে অবস্থান ও অনশন করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় প্রেমিক সাইদুর রহমানসহ তার বাড়ির লোকজন কলেজছাত্রীর উপর শারীরিক নির্যাতন করে বাড়ি থেকে পালিয়েছে বলে জানা গেছে।
এ নিয়ে স্থানীয় মাতব্বররা কয়েক দফায় বৈঠক করেও শুক্রবার সকাল পর্যন্ত কোন সমাধানে আসতে পারেনি। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার সূতিপাড়া ইউনিয়নের শ্রীরামপুর গ্রামে। প্রেমিক সাইদুর রহমান হলেন ঔই গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে। সে পেশায় একজন গার্মেন্টসকর্মী।
সরেজমিনে জানা যায়, প্রেমিক সাইদুর রহমানের (২৫) পাশের গাংগুটিয়া ইউনিয়নের এক কলেজছাত্রীর সঙ্গে প্রায় আড়াই বছর ধরে প্রেমের সর্ম্পক ছিল। এ সময়ে সাইদুর রহমান বিভিন্ন স্থানে নিয়ে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে ওই কলেজছাত্রীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তুলেন। গত এক সপ্তাহ ধরে সাইদুর রহমানকে বিয়ের কথা বললে সে নানা টালবাহানা শুরু করে এবং একপর্যায়ে সে বিয়ে করতে পারবে না বলে জানিয়ে দেন প্রেমিকাকে। পরে ওই কলেজছাত্রী নিরুপায় হয়ে বিয়ের দাবি নিয়ে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সাইদুরের বাড়িতে গিয়ে অবস্থান শুরু করে এবং বিয়ের জোর দাবি জানান।
ভুক্তভোগী কলেজছাত্রী জানান, বিয়ের প্রলোভন দিয়ে সাইদুর আমার তার সঙ্গে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক করেছে। এখন আমাকে বিয়ে না করলে আমার আত্মহত্যা ছাড়া আর কোন উপায় নেই।
এদিকে সাইদুরের মামা জাহাঙ্গীর বলেন, সাইদুরের সঙ্গে সম্পর্ক আছে শুনেছি। তবে সে এখন বিয়ে করতে রাজি নয়।
তবে স্থানীয়রা জানান, মেয়েটি ৩/৪ দিন ধরে মোহাম্মদ আলীর বাড়িতে না খেয়ে পড়ে আছে। এতে যে কোন ধরনের বড় সমস্যা হতে পারে। তাই বিষয়টি তাড়াতাড়ি মিমাংসা করে ফেলা উচিত।
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য ও মাতব্বররা বিষয়টি মিমাংসার জন্য দফায় দফায় চেষ্টা করেও কোন সমাধানে আসতে পারে নাই। অপরদিকে, ভুক্তভোগী কলেজছাত্রীকে সাইদুর বিয়ে না করলে সে আত্মহত্যা করবে বলে জানান।