চীনকে পেছনে ফেলে বিজ্ঞানমূলক গবেষণায় এগিয়ে যেতে আইন পাস করেছে যুক্তরাষ্ট্র। গত সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভে উভয়পক্ষের সমর্থনে দুটি বিল পাস হয়। এর মাধ্যমে ন্যাশনাল সায়েন্স ফাউন্ডেশনে ফান্ড বৃদ্ধি ও গবেষণার সুযোগ বাড়াতে নতুন একটি ‘বিজ্ঞান ও প্রকৌশল সচিবচালয়’ চালুর কথা বলা হয়।
বিজ্ঞান, মহাকাশ ও প্রযুক্তি কমিটির চেয়ারম্যান এডি বার্নিস জনসন বলেন, ‘আমাদের অবশ্যই বিজ্ঞানের জন্য ব্যাপকভাবে ফান্ড বাড়ানো উচিত। কয়েক বছর ধরে কয়েক মিলিয়ন ডলারের দুর্দান্ত গবেষণাকে ফান্ডছাড়া হতে দিয়েছি। আমরা দেশের ইতিহাসের একটি সংকটময় মুহূর্তে আছি এবং সমাজে বিজ্ঞানের ভূমিকার প্রতি আমাদের আরও মনোনিবেশ করা দরকার।’
ন্যাশনাল সায়েন্স ফাউন্ডেশন ফর দ্য ফিউচার অ্যাক্ট নামের প্রথম বিলটি ৩৪৫/৬৭ ভোটে পাস হয়। এ ছাড়া ডিপার্টমেন্ট অব এনার্জি সায়েন্স ফর দ্য ফিউচার অ্যাক্ট নামের দ্বিতীয় বিলটি ৩৫১/৬৮ ভোটে পাস হয়। ন্যাশনাল সায়েন্স ফাউন্ডেশন এবং ডিপার্টমেন্ট অব এনার্জি’স অফিস অব সায়েন্স’র জন্য বাৎসরিক ৭ শতাংশ করে ফান্ড বৃদ্ধি করা হবে।
চীন সরকারের সঙ্গে যুক্ত ‘থাউজেন্ড ট্যালেন্টস প্রোগ্রাম’র মতো বিদেশিদের সঙ্গে যুক্ত প্রোগ্রামগুলোতে অনুদান নিষিদ্ধে রিপাবলিকানরা একটি ধারাও সংযুক্ত করেছেন। রিপাবলিকান প্রতিনিধি মাইকেল ওয়াল্টজ বলেন, ‘আমাদের উন্মুক্ত গবেষা পদ্ধতিতে যারা সুযোগ নিতে চায়, তাদের হাত থেকে আমাদের কার্যক্রমকে রক্ষা করতে অবশ্যই আমাদের সঠিক ভারসাম্য বজায় রাখতে হবে।’
সোমবার দুটি বিল পাস ছাড়াও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আওতার বাইরে পৃথক বিল নিয়ে কাজ চলছে। গ্রেগরি মিকস প্রবর্তিত এই বিলের মাধ্যমে চীনের মানবাধিকার লঙ্ঘনের ফলে ভুক্তভোগী, হংকং ও উইঘুরদের অস্থায়ী সুরক্ষা বা শরণার্থীর মর্যাদা দেওয়া হবে। এ ছাড়া করোনার চীনা ভ্যাকসিনকে টেক্কা দিতে যুক্তরাষ্ট্র ভ্যাকসিন উৎপাদনে বিনিয়োগ বাড়াবে।