টিভি ব্রেকিংঃ
ঝিনুক টিভির পক্ষথেকে সকল দর্শকদের জানাচ্ছি আন্তরিক শুভেচ্ছা। ঝিনুক টিভি আসছে নতুন নতুন সব আয়োজন নিয়ে। পাশেই থাকুন
কিশোরগঞ্জে দিন দিন বাড়ছে চায়ের চাষ চা প্রসেসিং সেণ্টার চালুর দাবি

কিশোরগঞ্জে দিন দিন বাড়ছে চায়ের চাষ চা প্রসেসিং সেণ্টার চালুর দাবি

চা চাষ মানেই পাহাড়ী এলাকা। এমনটাই জেনে এসেছে মানুষ।সে অনুযায়ী পাহাড়ী এলাকা সিলেট কিংবা পার্বত্য অঞ্চলকে চা চাষের উপযোগী হিসেবে ধরা হয়।কিন্তু এসব ছাপিয়ে মাটি,আবহাওয়া,গড় বৃষ্ঠিপাত অনুক’লে থাকায় নীলফামারী কিশোরগঞ্জের সমতল ভ’মিতে চা চাষের অপার সম্ভাবনার আসর বসেছে।এক সময়কার অনাবাদি ধু-ধু বালুময় প্রান্তর এখন উর্বর ভ’মিতে পরিণত হয়ে সেখানেই হচ্ছে চায়ের চাষ। আর দিনদিন এর চাষাবাদ ছড়িয়ে পড়ছে জেলা উপজেলার সর্বত্র।

জানা গেছে ২০১৪ সালে ভিক্ষুকমুক্ত উপজেলা ঘোষনার মধ্যে দিয়ে ভিক্ষুকদের কর্মসংস্থান সৃষ্ঠির লক্ষ্যে উপজেলা পরিষদ চত্বরে এক একর পরিত্যক্ত সমতল ভ’মিতে পরীক্ষামূলক ভাবে চা-চাষ শুরু হয়। এক থেকে দেড় বছরের মাথায় সুফল মেলায় উপজেলা সদরের কেশবা,বাহাগিলীর ময়নাকুড়ি,সন্ন্যাসী পাড়া,নিতাইয়ের পার ঘাট,বাড়িমধুপুর, চাঁদখানা ও মাগুড়া এলাকায় ব্যক্তি মালিকানাসহ সিনহা এগ্রোফার্ম,পাঠান ট্রেডার্স,রাজা ও নীলসাগর গ্রæপ বাণিজ্যিকভাবে প্রায় পঞ্চাশ একর জমিতে গড়ে তুলছেন চা বাগান। এতে একদিকে লাভবান হচ্ছে চা বাগান মালিকরা অন্যদিকে কর্মসংস্থান সৃষ্ঠি হয়েছে হাজারও শ্রমজীবী নারী ও পুরুষের। চা বাগান মালিকসহ শ্রমিকদের দাবি এ এলাকায় সরকারী/বেসরকারীভাবে চা প্রসেসিং সেন্টার হলে চা-চাষে সবুজ বিপ্লব ঘটার মধ্যে দিয়ে ঘুচবে বেকারত্ব এবং অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি আসবে এমনটাই প্রত্যাশা তাদের। চা শ্রমিকরা বলেন,চা চাষ এ এলাকার অর্থনৈতিক উন্নয়নে স্বনির্ভরতার বারতা নিয়ে এসেছে।বিশেষ করে এখানে শত শত নারীর কর্মসংস্থান সৃষ্ঠি হয়েছে।

কিশোরগঞ্জের চা বোর্ডের কর্মকর্তা জায়েদ ইমাম সিদ্দিক জানান,চা চাষের জন্য এই অঞ্চলের মাটি খুবই উপযোগী।পাহাড়ি সমতলে যেখানে তিন বছরে পাতা উত্তোলন শুরু হয়,সেখানে এ অঞ্চলে এক থেকে দেড় বছরে পাতা উত্তোলন শুরু হয়।এ এলাকার উৎপাদিত চা-পাতা মানসম্পন্ন।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকসানা বেগম জানান, কাঁচা পাতার ন্যায্য মূল্য নির্ধারনের মাধ্যমে সরকারী পৃষ্ঠপোষকতা পেলে পুরো জেলায় চা চাষ করা সম্ভব।
উপজেলা কৃষি অফিসার হাবিবুর রহমান বলেন,এ অঞ্চলে প্রায় পঞ্চাশ হেক্টর জমিতে চা বাগান গড়ে উঠেছে।চা চাষে খরচ কম লাভ বেশি,সময়মত পরিচর্যা ও সেচ দিলে ভাল ফলন পাওয়া যায় এবং রোগবালাইও কম।তিনি আরও জানান, কৃষক পর্যায়ে ক্ষতিকর তামাক চাষে নিরুৎসাহিত করে সমতল ভ’মিতে চা চাষে উৎসাহিত করা হচ্ছে।

শেয়ার করুনঃ

Comments are closed.

© All rights reserved © 2020 | jhenuktv.com
Developed BY POS Digital