বুধবার (২৮ জুলাই) দুপুরে এসপি (এ সার্কেল) মারুফা জামাল হত্যার সঙ্গে জড়িত স্ত্রী মমিনা বেগম ও পরকীয়া প্রেমিক পল্লী চিকিৎসক গোলাম রব্বানীকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণের তথ্য নিশ্চিত করেন। পরে তাদের জিজ্ঞাসাবাদে হত্যায় ব্যবহৃত আলামত সংগ্রহ করে পুলিশের বিশেষ টিম।
এসপি (এ সার্কেল) মারুফা জামাল বলেন, ঈদের দ্বিতীয় দিনে একসঙ্গেই ছিলেন পরকীয়া প্রেমিক গোলাম রব্বানী ও আব্দুল জলিল। ওইদিন গভীর রাতে পল্লী চিকিৎসক গোলাম রব্বানী কৌশলে জলিলকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে দিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। এদিকে অপেক্ষারত স্ত্রী মমিনা বেগম স্বামী ঘুমিয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাকে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, মৃত্যুর তিনদিন পর কুলখানি অনুষ্ঠান শেষে বড় ভাই আব্দুর রশিদ মৃত জলিলের স্ত্রী মমিনা বেগমকে তাদের সাথে বাড়ি নিয়ে যেতে চাইলে তিনি তাদের সাথে যেতে অস্বীকার করেন। এসময় মমিনা বেগম জানান, আমি এখানেই আবার বিয়ে করবো এবং এখানেই থাকবো। এ কথা শোনার পর জলিলের বড়ভাই রশিদের সন্দেহ হয়। সন্দেহের জেরে পরদিন গত ২৫ জুলাই তার ছোটভাইকে হত্যা করা হয়েছে মর্মে এসপির বরাবর একটি অভিযোগ দায়ের করেন।