তদন্তকারীদের ফাঁকি দিতে অভিনব উপায় বের করেছিলেন কন্নড় অভিনেত্রী রাগিনী দ্বিবেদী। তিনি মাদকাসক্ত নন, এটা প্রমাণ করতে চিকিৎসকদের হাতে পানি মেশানো প্রস্রাবের নমুনা তুলে দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। যদিও তার সেই ‘চালাকি’ শেষ পর্যন্ত কাজে আসেনি।
চিকিৎসকদের হাতে ধরা পড়ে গিয়েছেন এই দক্ষিণী অভিনেত্রী। শেষমেষ আবার প্রস্রাবের নমুনা চিকিৎসকদের হাতে তুলে দিতে হয়েছে তাকে।
সুশান্ত সিং রাজপুতের অস্বাভাবিক মৃত্যুর পরেই বলিউডের মাদকযোগ নিয়ে তদন্ত শুরু করে নার্কোটিকস কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি)। বলিউড থেকে সেই তদন্তের রেশ ছড়িয়ে পড়ে কন্নড় ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতেও।
স্যান্ডেলউডের বেশ কয়েকজন নামী তারকা ইন্ডাস্ট্রির অন্দরে মাদক সরবরাহ করেন বলে খোঁজ পাওয়া যায়। এরপরই তদন্ত শুরু করে ব্যাঙ্গালুরুর সিটি ক্রাইম ব্রাঞ্চ (সিসিবি)। শুক্রবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকালে অভিনেত্রী রাগিনী দ্বিবেদীর বাড়িতে হানা দেন তদন্তকারীরা। সেদিন সন্ধ্যায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বৃহস্পতিবার রাগিনীকে মল্লেশ্বরমের কেসি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই ড্রাগ টেস্টের জন্য তার প্রস্রাবের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। ইউরিন ড্রাগ টেস্টের মাধ্যমে নির্ধারণ করা হয় গত কয়েকদিনে কেউ মাদক নিয়েছেন কিনা।
সিসিবির অভিযোগ, নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে প্রস্রাবের সঙ্গে পানি মিশিয়ে দেন রাগিনী। কিন্তু তাতেও শেষ রক্ষা হয়নি। অভিনেত্রীর জালিয়াতি বুঝতে পেরে যান চিকিৎসকরা। রাগিনীকে ফের পানি খাইয়ে প্রস্রাবের নমুনা সংগ্রহ করেন। দ্বিতীয়বার যাতে কোনো জালিয়াতি না হয় তা নিশ্চিত করে সিসিবি।
গোটা বিষয়টি দুর্ভাগ্যজনক ও লজ্জাজনক আখ্যা দেন সিসিবি কর্মকর্তারা। শুক্রবার ম্যাজিস্ট্রেটকেও বিষয়টি জানানো হয়। এরপরেই অভিনেত্রীকে ফের হেফাজতে নেওয়ার আরজি জানান তদন্তকারীরা। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে আরো ৩ দিন পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক।
তদন্তে জানা গেছে, রাগিনী তার ঘনিষ্ঠ বন্ধুর কাছ থেকে ও এক বিদেশির কাছ থেকে ড্রাগ নিতেন। এক আফ্রিকান রাগিনীর বাড়িতে এমডিএমএ ট্যাবলেট পৌঁছে দিতো। সাইমন নামের ওই বিদেশির সঙ্গে রাগিনীর বার্তা হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের প্রমাণ মিলেছে।