নায়ক নির্ভর ইন্ডাস্ট্রিতে যে ক’জন নায়িকা দাপটের সঙ্গে অভিনয় করে নিজের নামটাকে ইতিহাস হিসেবে তৈরি করতে পেরেছিলেন তাদের মধ্যে অন্যতম শাবনূর। যদি হাতেগুণা কয়েকজন তারকাদের মধ্য দিয়ে ঢাকাই সিনেমা সমৃদ্ধ হয়ে থাকে তবে শাবনূর তাদের মধ্যে প্রধানতম। তাকে বাদ দিয়ে দেশীয় চলচ্চিত্রের আলোচনা সম্পূর্ণ হতেই পারে না। অভিনয় নৈপুণ্য ও নিজস্ব স্বকীয়তায় তৈরি করে নিয়েছিলেন নিজের অবস্থান, সেইসাথে দর্শক হৃদয়ে ঠাই। নিজের সময়ের প্রায় সব নায়কের সঙ্গেই জুটি বেঁধে কাজ করেছেন। তবে সবচেয়ে বেশি সফল ছিলেন নায়ক সালমান শাহের সঙ্গে জুটি বেঁধে।
আজ ১৭ ডিসেম্বর ঢাকাই সিনেমার এই বিউটি কুইনের জন্মদিন। ৪০ পেরিয়ে পা রাখলেন ৪১ বসন্তে। ঘড়ির কাঁটা বারোটা ছোঁয়ার আগে থেকেই সহকর্মী, ভক্ত অনুরাগীদের শুভেচ্ছা ও ভালোবাসায় সিক্ত হচ্ছেন এই নায়িকা। চলচ্চিত্র ছেড়ে গেলেও দর্শক মনে শাবনূর এখনো এক আবেগের নাম।
প্রখ্যাত নির্মাতা এহতেশামের হাত ধরে ১৯৯৩ সালের ১৫ অক্টোবর বড় পর্দায় আবির্ভাব ঘটে চিত্রনায়িকা শাবনূরের। তার আসল নাম কাজী শারমিন নাহিদ নূপুর হলেও তাকে সবাই শাবনূর নামেই চেনেন। নির্মাতা এহতেশাম নূপুরের নাম পাল্টে শাবনূর রাখেন; আর সেটাই কালক্রমে ঢাকাই সিনেমার ইতিহাস হয়ে যায়। সেই হিসেবে এরইমধ্যে কেটে গেছে ২৭টি বছর। চলচ্চিত্রের ক্যারিয়ারে চলছে শাবনূরের রজতজয়ন্তী। প্রথম অভিনীত ছবির নাম ‘চাঁদনী রাতে’; যেখানে তার শাবনূরের নায়ক ছিলেন সাব্বির। ছবিটি ব্যবসায়িকভাবে সফলতা না পেলেও হাল ছাড়েননি নায়িকা।
এরপর জুটি বাঁধেন সালমান শাহের সঙ্গে। এই জুটির মাধ্যমেই বদলে যায় তাদের জীবন। সালমান শাহের সঙ্গে ১৪টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন শাবনূর। যার সবগুলোই ছিল ব্যবসা সফল। জহিরুল হক পরিচালিত এ জুটির প্রথম ছবি ‘তুমি আমার’ ১৯৯৪ সালে মুক্তি পায়। একই বছর শাহ আলম কিরণ তাদের নিয়ে ফারুক-কবরী জুটির ‘সুজন সখী’ চলচ্চিত্রের রঙিন পুনঃনির্মাণ ‘সুজন সখী’ নির্মাণ করেন। ১৯৯৫ সালে ‘স্বপ্নের ঠিকানা’, ১৯৯৬ সালে ‘স্বপ্নের পৃথিবী’, ‘তোমাকে চাই’, ১৯৯৭ সালে শিবলি সাদিক পরিচালিত ‘আনন্দ অশ্রু’ ছবিগুলো তুমুল সাড়া ফেলে ইন্ডাস্ট্রিতে।
চলচ্চিত্রের বাইরে বিজ্ঞাপন ও মিউজিক ভিডিওতেও কাজ করেছেন শাবনূর। তবে সেখানে নিয়মিত হননি। তিব্বত বিউটি কেয়ার সোপ, হেনোলাক্স-এর বিজ্ঞাপনে তাকে দেখা গিয়েছে। মিউজিক ভিডিও-তে নায়ক ওমর সানী-র সাথে ‘তুমি যে আমার কবিতা’ নামের জনপ্রিয় গানে মডেল হয়েছিলেন তিনি।
চলচ্চিত্রে শাবনূর নিজেই নিজের প্রতিদ্বন্দ্বী। তাকে বিশ্লেষণের জন্য শুধু তার সাথেই তুলনা দেয়া যথেষ্ঠ, অন্য কারো সাথে নয়। অন্য অনেক তারকার মতো তারও চলচ্চিত্রের বিশ্লেষণ বাণিজ্যিক ও অফট্র্যাক দিয়েই হয়। কারণ দুই ধারাতেই তার অতুলনীয় কাজ রয়েছে। বাণিজ্যিক ছবির শাবনূর অনেক বেশি ডাইমেনশনাল। অনেক চরিত্রে, অনেক ক্লাসিফিকেশনে কাজ করেছেন তিনি। রোমান্টিক, রোমান্টিক ড্রামা, ফ্যামিলি ড্রামা, সোশ্যাল ড্রামা, ফোক, পলেটিক্যাল, লেডি অ্যাকশন, সোশ্যাল কনসাসনেস, লিটারেচার জনরা; সব জায়গাতেই নিজেকে নিজে ছাপিয়ে গিয়েছেন।
অফট্র্যাকের পাশাপাশি সাহিত্যিক ছবিতে শাবনূর অপ্রতিদ্বন্দ্বী। হুমায়ূন আহমেদ-এর ‘জনম জনম’ উপন্যাস নিয়ে নির্মিত ‘নিরন্তর’ ছবিতে শাবনূরের অভিনয় তার ক্যারিয়ারের অন্যতম মাইলফলক। আহমদ ছফা-র ‘ওঙ্কার’ উপন্যাস থেকে নির্মিত ‘বাঙলা’ ছবিতে বোবা মেয়ের চরিত্রে শাবনূরের অভিনয় অতুলনীয়। আমজাদ হোসেনের উপন্যাস থেকে নির্মিত ‘কাল সকালে’ ছবিটিও দুর্দান্ত। এছাড়া ‘মোল্লাবাড়ির বউ, চার সতীনের ঘর’ ছবি দুটি তার ক্যারিয়ারের মাইলফলক বলা যায়।
সালমানের অকাল মৃত্যর কারণে দিশেহারা হয়ে পড়েছিলেন শাবনূর। সালমানের অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুতে তার অসমাপ্ত সিনেমাগুলোর দৃশ্য এবং গানগুলো ডামি দ্বারাই সম্পূর্ণ করা হয়েছিল। যেটা শাবনূরের জন্য ছিল বিশাল বড় ধাক্কা। সেই ডামির সাথেই ছয়টি সিনেমা (জীবন সংসার, চাওয়া থেকে পাওয়া, আনন্দ অশ্রু, বুকের ভিতর আগুন, স্বপ্নের নায়ক ও প্রেম পিয়াসী) করতে হয়েছিল শাবনূরকে। এই ডামির সাথেই একজন শাবনূরকে এতোগুলো কাজ করতে হয়েছিল। একদিকে তার তখনকার সর্বাধিক সিনেমার সহকর্মীর অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যু, অন্যদিকে সেই সালমানের অবর্তমানে তার ডামির সাথে বিভিন্ন ধরনের হাসি-কান্নার এক্সপ্রেশন দিয়ে কাজগুলো করে যেতে হয়েছিল। একটা অস্বস্তিকর অবস্থার মধ্যে শাবনূর তখন ছিল! আর কোন তারকা নেই যাকে এতগুলো সিনেমাতে ডামির সাথে কাজ করতে হয়েছে। তবুও শাবনূর মানিয়ে নিয়েছিল। এমনকি উক্ত সিনেমাগুলোতে তার অভিনয়ও অনেক বেশি সমাদৃত হয়েছিল।
সালমানের অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুতে তার নামও ভালভাবে জড়িয়ে একের পর এক বিতর্কিত হয়েছিলেন। ফলে তাকে অনেক বেশি ইমেজ সংকটে পড়তে হয়েছিল। যেটা একজন তারকার জন্য খুবই স্পর্শকাতর বিষয় ছিল। এমন অনেক সম্ভাবনাময় তারকার দৃষ্টান্ত আছে, যারা এই ইমেজ সংকটে পড়ে ক্যারিয়ার থেকে শুরু করে জীবনের অনেক কিছুই হারিয়ে ফেলেছিল।
কিন্তু শাবনূরের ক্যারিয়ারে এটা অনেক বড় ধাক্কা হবার কথা থাকলেও তা হতে পারেনি তার প্রতিভার জোরে। তার ক্যারিয়ার তখনও সবচেয়ে উজ্জ্বলতা নিয়ে জ্বলছিল। ’৯৭সালেও শাবনূরের ১১টি সিনেমা মুক্তি পায়। যার বেশিরভাগে তার অভিনয় সমালোচকদের পাশাপাশি দর্শক মহলেও নন্দিত হয়। আনন্দ অশ্রু, কে অপরাধী, শেষ ঠিকানা, উজানা ভাটি, প্রেম, তুমি শুধু তুমি ইত্যাদি সিনেমাতে তার অভিনয় এতটাই নন্দিত হয় যে সবাই তাকে সময়ের সেরা অভিনেত্রীর আক্ষা দিতে থাকে।
এদিকে সালমানের অবর্তমানে উঠতি বা নতুন সব নায়কেরা শাবনূরের সাথে জুটি গড়ার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করতে থাকে। যেখানে অমিত হাসান, শাকিল খান থেকে শুরু করে হেলাল খানরা তো রীতিমতো সিনেমার প্রযোজক হয়ে শাবনূরের সাথে জুটি গড়ার জন্য সচেষ্ট ছিল। চিত্রনায়ক রিয়াজ তখন শাবনূর ছাড়া কাজই হাতে নিতে চায় নি। সালমান শাহ পরবর্তী সময়ে শুধু শাবনূরের সঙ্গে জুটি বাঁধার কারণেই অনেক নায়কই পায়ের তলায় মাটি পেয়েছিলেন ধরা যায়।
সালমানের পর নায়ক রিয়াজের সঙ্গে জুটি বেঁধেও অসংখ্য ছবি উপহার দেন শাবনূর। এই নায়কের বিপরীতে ১৯৯৭ সালে ‘মন মানে না’ ও ‘তুমি শুধু তুমি’ মুক্তি পায়। এরপর ১৯৯৯ সালে রিয়াজ-শাবনূর জুটির ‘ভালোবাসি তোমাকে’ ও ‘বিয়ের ফুল’ ব্যবসা সফল হয়। সালমান শাহের পর রিয়াজ-শাবনূর জুটি দর্শকমহলে ব্যাপক সাড়া ফেলে।
২০০০ সালে শাবনূর-রিয়াজ জুটির ‘নারীর মন’ ও ‘এ মন চায় যে’ মুক্তি পায়; যেটি পরিচালনা করেন মতিন রহমান। এছাড়া এফ আই মানিক পরিচালিত ‘এ বাঁধন যাবে না ছিঁড়ে’, জাকির হোসেন রাজু পরিচালিত ‘নিঃশ্বাসে তুমি বিশ্বাসে তুমি’, সাঈদুর রহমান সাঈদ পরিচালিত ‘এরই নাম দোস্তি’, এফ আই মানিক পরিচালিত ‘ফুল নেবো না অশ্রু নেবো’ নায়ক ছিলেন শাকিব খান ও ইস্পাহানি আরিফ জাহান পরিচালিত ‘গোলাম’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন।
পরবর্তীতে ২০০১ সালে আবারও দেখা মেলে রিয়াজ-শাবনূর জুটির। এসময় তারা দর্শকদের উপহার দেন ‘শ্বশুরবাড়ী জিন্দাবাদ’। যেটি পরিচালনা করেন দেবাশীষ বিশ্বাস। একই বছর গাজী মাহবুব পরিচালিত ‘প্রেমের তাজমহল’ ও এফ আই মানিক পরিচালিত ‘স্বপ্নের বাসর’ ছবিগুলো তুমুল ব্যবসা করে। ২০০২ সালে গুণী নির্মাতা আমজাদ হোসেন পরিচালিত ‘সুন্দরী বধূ’, এফ আই মানিক পরিচালিত ‘হৃদয়ের বন্ধন’ ও ‘স্বামী স্ত্রীর যুদ্ধ’, জাকির হোসেন রাজু পরিচালিত ‘মিলন হবে কত দিনে’ ও ‘ভালোবাসা কারে কয়’, শাহাদৎ হোসেন লিটন পরিচালিত ‘ও প্রিয়া তুমি কোথায়’ এবং আজাদী হাসনাত ফিরোজ পরিচালিত ‘সবার উপরে প্রেম’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন শাবনূর।
২০০৩ সালে অভিনয় করেন মতিন রহমান পরিচালিত ‘মাটির ফুল’, এফ আই মানিকের ‘দুই বধূ এক স্বামী’, আমজাদ হোসেনের ‘প্রাণের মানুষ’, আজাদী হাসনাত ফিরোজের ‘বউ শাশুড়ীর যুদ্ধ’, জিল্লুর রহমানের ‘স্বপ্নের ভালোবাসা’, মহম্মদ হান্নানের ‘নয়ন ভরা জল’ ছবিতে। ২০০৪ সালে এই নায়িকা কাজী হায়াৎ পরিচালিত ‘অন্য মানুষ’, আজাদী হাসনাত ফিরোজের ‘ফুলের মতো বউ’, মিজানুর রহমান খান দীপুর ‘যত প্রেম তত জ্বালা’, শিল্পী চক্রবর্তীর ‘তোমার জন্য পাগল’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। ২০০৫ সালে শাবনূর অভিনীত সিনেমার মধ্যে আমজাদ হোসেনের ‘কাল সকালে’, সালাউদ্দিন লাভলুর ‘মোল্লা বাড়ীর বউ’, মোস্তাফিজুর রহমান মানিকের ‘দুই নয়নের আলো’ এবং ‘আমার স্বপ্ন তুমি’। ‘দুই নয়নের আলো’ ছবিতে অসাধারণ অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে ক্যারিয়ারের প্রথম ও একমাত্র জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান শাবনূর।
২০০৬ সালে শাবনূর কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাস ‘জনম জনম’ অবলম্বনে নির্মিত ‘নিরন্তর’ ছবিতে অভিনয় করেন। পরিচালনা করেন আবু সাইয়ীদ। ২০০৭ সালের মুক্তি পায় মালেক বিশ্বাস পরিচালিত ‘মেয়ে সাক্ষী’, মহম্মদ হান্নান পরিচালিত ‘ভালোবাসা ভালোবাসা’ এবং পি এ কাজল পরিচালিত ‘আমার প্রাণের স্বামী’।
এরপর ২০০৮ সালে পি এ কাজলের ‘১ টাকার বউ’ ছবিতে শাকিব খানের সঙ্গে জুটিবদ্ধ হন শাবনূর। এই ছবিটিও ব্যবসা সফল হয়েছিল। ২০০৯ সালে রিয়াজের বিপরীতে মনতাজুর রহমান আকবর পরিচালিত ‘তুমি আমার স্বামী’, এটিএম শামসুজ্জামান পরিচালিত ‘এবাদত’ ও আব্দুল মান্নান পরিচালিত ‘মন বসে না পড়ার টেবিলে’ এবং শাকিব খানের বিপরীতে পি এ কাজল পরিচালিত ‘স্বামী স্ত্রীর ওয়াদা’ ও শাহ মোঃ সংগ্রাম পরিচালিত ‘বলবো কথা বাসর ঘরে’ ছবিতে অভিনয় করেন এই নায়িকা। ২০১০ সালে শাবনূর অভিনয় করেন মনতাজুর রহমান আকবরের ‘এভাবেই ভালোবাসা হয়’, মোহাম্মদ হোসেনের ‘চাঁদের মত বউ’, মোস্তাফিজুর রহমান মানিকের ‘মন ছুঁয়েছে মন’, চন্দন চৌধুরীর ‘ভালোবেসে বউ আনব’ এবং বি আর চৌধুরীর ‘বধূ তুমি কার’ ছবিতে।
জনপ্রিয়তার তুঙ্গে থাকাবস্থায় ২০১১ সালের ৬ ডিসেম্বর ব্যবসায়ী অনিক মাহমুদের সঙ্গে আংটি বদল হয় শাবনূরের। ২০১২ সালের ২৮ ডিসেম্বর বিয়ে করেন তারা। এরপর মিডিয়াকে আড়াল করে অস্ট্রেলিয়ায় বসবাস শুরু করেন শাবনূর। ২০১৩ সালের ২৯ ডিসেম্বর ছেলে সন্তানের মা হন তিনি। তার ছেলের নাম আইজান নিহান। চলতি বছরের শুরুতে দুজনের মনোমালিন্যের জেরে বিচ্ছেদ ঘটে ঘটে শাবনূরের সংসারে। ২৪ জানুয়ারি অনিক মাহমুদকে ডিভোর্স দেন শাবনূর। এখন ছেলে আইজানকে নিয়ে অস্ট্রেলিয়াতেই রয়েছেন এই নায়িকা।
২০১৩ সালে শাবনূর অভিনীত ‘কিছু আশা কিছু ভালোবাসা’ ছবিটি মুক্তি পায়। ওই ছবিতে তার সহশিল্পী ছিলেন ফেরদৌস ও মৌসুমী। পরিচালনা করেন মোস্তাফিজুর রহমান মানিক।
২০০৫ সালে ‘দুই নয়নের আলো’ ছবির জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান শাবনূর। মেরিল প্রথম আলো পুরস্কার সর্বোচ্চ ১০বার পাওয়ার রেকর্ড তারই। এছাড়াও ‘ভালোবাসা কারে কয়’ ছবির জন্য বিএফপিডিএ পুরস্কার পান তিনি।
সফলতার পাশাপাশি শাবনূর একটি আফসোসেরও নাম। তার ক্যারিয়ার আরো দীর্ঘ হওয়ার কথা ছিল। দর্শকরা তাকে আরো বড় সময় ধরে ঢালিউডে নিয়মিত দেখতে চাইলেও জনপ্রিয়তার তুঙ্গে থাকা অবস্থাতেই হারিয়ে যান তিনি। এক্ষেত্রে শাবনূরের নিজের কিছু অসচেতনতা-ই দায়ী বলে মনে করেন চলচ্চিত্রকর্মীরা।
দীর্ঘদিন ধরে নতুন কোনও সিনেমায় কাজ না করলেও শাবনূরের জনপ্রিয়তায় কোনও ভাটা পড়েনি। আজও নির্মাতারা শাবনূরকে নায়িকা করে সিনেমা বানাতে চান। যতদিন দেশীয় ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি থাকবে, শাবনূর বেঁচে থাকবেন তার কর্মের গুণে।