সোমবার স্থানীয় সময় ভোররাতে সুচি ও তার ক্ষমতাসীন দলের অন্যান্য নেতাদের আটক করার পর জরুরি অবস্থা জারি করে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। গত নভেম্বরে অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনে জালিয়াতির অভিযোগ রয়েছে তাদের। মিয়ানমারের এসব ঘটনা নিয়ে দেওয়া এক বিবৃতিতে বাইডেন বলেছেন, ‘সেনাবাহিনীর কখনোই জনগণের ইচ্ছা বা একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ফলাফলকে বাতিল করার চেষ্টা বা মুছে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া উচিত নয়।’
এদিকে নোবেল শান্তি পুরস্কার জয়ী সুচি ও তার দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের গ্রেপ্তারের বিরুদ্ধে কড়া প্রতিবাদ জানানোর লক্ষে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর আজ মঙ্গলবার বৈঠকে বসার কথা আছে বলে কূটনীতিকরা জানিয়েছেন। প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেছেন, অভ্যুত্থানটি মিয়ানমারের গণতান্ত্রিক রূপান্তর ও আইনের শাসনের ওপর সরাসরি আক্রমণ। এ ঘটনায় অন্যান্য দেশ কীভাবে সাড়া দিচ্ছে, তার ওপর মার্কিন প্রশাসন নজর রাখবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন থেকে সেনাবাহিনীর শাসনে থাকা মিয়ানমার গত কয়েক দশক ধরে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছিল বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। কিন্তু সোমবারের ঘটনায় মিয়ানমারের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার প্রক্রিয়া আবারও পিছিয়ে যাবে বলে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মহল আশঙ্কা প্রকাশ করছেন।