প্রতারকরা চিকিৎসার নামে বিভিন্ন সময় বিকাশের মাধ্যমে ১৫ লাখ ৯৯ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন

দীর্ঘদিন ধরে পেটের ব্যাথায় ভুগছেন মনোয়ারা বেগম। চিকিৎকসায় অনেক টাকাও নষ্ট করেছেন তিনি। অবশেষে গত ১৫ মার্চ রাতে নিজ কক্ষে ডিস লাইনে ‘৪৩ ভিডিও চ্যানেল’ নামে স্থানীয় চ্যানেলে চিকিৎসার বিজ্ঞাপন দেখেন তিনি। বিজ্ঞাপনে থাকা মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করলে বিবাদীরা জিনের বাদশা পরিচয় দিয়ে জ্বিনের মাধ্যমে চিকিৎসার কথা জানান। পরে প্রতারকরা চিকিৎসার নামে বিভিন্ন সময় বিকাশের মাধ্যমে ১৫ লাখ ৯৯ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন।

এমন ঘটনাই ঘটেছে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মীর এনায়েত হোসেন মন্টুর স্ত্রী মনোয়ারা বেগমের সাথে।

বিষয়টি পারিবারিকভাবে জানাজানি হলে মনোয়ারা বেগমের ভাতিজী খালেদা আক্তার ২৩ মে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের নামে মির্জাপুর থানায় মামলা করেন। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে জিনের বাদশা চক্রের সদস্য ৩ সহোদরকে গ্রেপ্তার করেছে। শুক্রবার ভোলা জেলার বোরহান উদ্দিন উপজেলার দেওলি শিবপুর গ্রাম থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- ভোলা জেলার বোরহান উদ্দিন উপজেলার দেওলি শিবপুর গ্রামের আব্দুর রবের তিন ছেলে মিন্টু মিয়া (৩৫), আলম মিয়া (২৭) ও মিজানুর রহমান (২২)। এ সময় তাদের কাছ থেকে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত একটি মোবাইল ফোন ও সিমকার্ড উদ্ধার করে পুলিশ।

শনিবার আসামিদের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে আদালতে পাঠানো হয়। শুনানি শেষে আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আরিফুল ইসলাম তাদের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ রিজাউল হক দিপু বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, প্রতারণা করে হাতিয়ে নেওয়া টাকা উদ্ধার করা সম্ভব হবে।