এমন শতবাধা পেরিয়ে নীলফামারী কিশোরগঞ্জের মফস¦লের উদ্যমী হতদরিদ্র পরিবারের কমলা রঙের নারীরা স্বামীর সংসার গোছানো,সন্তানের দেখভাল করা এবং স্বামীর সেবায় ব্রত থাকার পরও নিজেকে এবং দেশ ও জাতির কল্যানে নিবেদিত করার দৃঢ় মানসিকতা নিয়ে সফল উদ্যেক্তা হওয়ার স্বপ্ন বুনছেন।
জানা গেছে,কিশোরগঞ্জ এপি ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের আয়োজনে, গ্রাম উন্নয়ন কমিটির যৌথ উদ্যোগে সেলাই মেশিনের উপর দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষনের মাধ্যমে নন ফারম্ সুবিধাভোগী হতদরিদ্র পরিবারের শিক্ষিত,অর্ধ শিক্ষিত বেকার নারীরা আত্মকর্মসংস্থানের পথ খুঁজে পেয়েছেন। স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাটির বাস্তবায়নে উপজেলার পুটিমারী ইউপি’র ভেড়ভেড়ী ধাপের ডাঙ্গায় গ্রাম ভিত্তিক মহিলা উন্নয়ন সমিতি গঠনের লক্ষ্যে হত দরিদ্র পরিবারের নারীদের ভাগ্য উন্নয়নের কাজ করছেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে,নিঝুম দুপুরে বাড়ির উঠোনে,বাঁশ বাগানের ছায়ায় বসে,হাতে নেই রং তুলি,নেই আঁকা সাদা পাতা তবুও হরেক রঙের সূতোর ভাঁজে কখনো লাল,কখনো সাদা কাঁথার জমিনের উপর রঙিন সূতোয় ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে শৈল্পিক চিত্রে সূক্ষ নকশি কাঁথা।হাতের কারসাজিতে সুঁই সূতোর এফোঁড় ওফোঁড়ে এক একটি নকশি কাঁথা যেন ফুটে উঠেছে জীবন্ত প্রতিচ্ছবির স্বনির্ভরতার ছাপ। আবার কেউ কেউ থরে থরে সেলাই মেশিনে তৈরি করছেন ছোট শিশু-কিশোরদের হরেক রকমের ফ্যাশনাবেল পোশাক।এ সময়ে মহিলা উন্নয়ন সমিতির সভানেত্রী রজিফা জানান,গ্রাম উন্নয়ন কমিটির উদ্দ্যোগে ওয়ার্ল্ড ভিশন থেকে ২০দিনের সেলাই মেশিন প্রশিক্ষণের আয়োজন করেন। প্রশিক্ষণ শেষে সংস্থাটি বিনামূল্যে ১০জন নারীকে বিভিন্ন সামগ্রী,সেলাই মেশিনসহ,হস্তশিল্প বুননের জন্য কাপড় প্রদান করেন।এমন সহযোগিতা পেয়ে আমাদের সমিতির নারীরা সংসারের বাড়তি আয়ের পথ খুঁজে পেয়েছেন।তিনি আরো জানান,সরকারি-বেসরকারি ভাবে কারিগরি বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ এবং পৃষ্ঠপোষকতা পেলে এ পেশায় আরো ভালো কিছু করা সম্ভব।
নারী সমিতির অন্য সদস্যা শাহানা,মোমিনা জানান,আমাদের সম্যক জ্ঞান থেকে নকশি কাঁথা তৈরি করছি এর পাশাপাশি সেলাই মেশিন প্রশিক্ষণ পেয়ে ছোট-বড় সব ধরনের পোশাক তৈরি করে সংসারের বাড়তি আয়ের পথ খুঁজে পেয়েছি।আমাদের হাতের নকশি কাঁথাসহ হরেক রকম পোশাক স্থানীয় লোকজনের পাশাপাশি বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করে প্রতিমাসে আয়ও হচ্ছে ৩-৪ হাজার টাকা।
এ ব্যাপারে এপি’র প্রোগ্রাম ম্যানেজার পিকিং চাম্বুগং বলেন,হতদরিদ্র পরিবারের নারীদের অগ্রযাত্রাকে ত্বরান্বিত করতঃ ওয়ার্ল্ড ভিশনের কারিগরি সহযোগিতা পেয়ে মহিলা উন্নয়ন সমিতির নারীরা বাড়তি আয়ের পথ খুঁজে পেয়েছেন।সাথে ছবি আছে।